ঝিনাইদহের চোখ-
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আজ বুধবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে।
১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে প্রতিদিন আলাদা থিম-ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও ভিজুয়াল ও অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের থিম ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছো জ্যোতির্ময়’।
এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও করোনাভাইরাসজনিত বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’। এতে সশরীরে পাঁচটি দেশের প্রধান ও ভিডিও বার্তায় অনেক দেশ ও সংস্থার প্রধানরা অংশ নেবেন।
এর মধ্যে ১৭ মার্চ বিকেল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ উপস্থিত থাকবেন।
শিশু শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও এর পরপরই শত শিশু শিল্পীর সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হবে। মুজিববর্ষের থিম সংয়ের মিউজিক ভিডিও পরিবেশনার পর বিমানবাহিনীর ফ্লাইপাস্টের রেকর্ড করা ভিডিও প্রচার করা হবে। স্বাগত সম্ভাষণ দেবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য অংশে প্রচারিত হবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগার ধারণ করা ভিডিও বার্তা। চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের উপহারস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য প্রদানের ভিডিও প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠানে।
সম্মানিত অতিথি মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্’র বক্তব্য দেয়ার পর ভাষণ দেবেন প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথিদের ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা-স্মারক উপহার দেয়া হবে। এরপর সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার মধ্যদিয়ে আলোচনা পর্ব শেষ হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’ থিমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত অডিও-ভিজুয়ালে ফুটে উঠবে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে অর্কেস্ট্রা মিউজিকের সঙ্গে গান পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধুকে প্রতীকী চিঠি উৎসর্গ, ‘মুজিব শতবর্ষের কার্যক্রম ফিরে দেখা’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বন্ধু রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকছে ভারতের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের নেতৃত্বে একটি বিশেষ পরিবেশনা। বর্ণিল আতশবাজি ও লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম দিনের আয়োজন।
বিদ্যমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান সকল টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
১৯ মার্চের অনুষ্ঠান ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে উপস্থিত থাকবেন।
২২ মার্চের আয়োজন ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী উপস্থিত থাকবেন। এদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং উপস্থিত থাকবেন। পোপ ফ্রান্সিস শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
২৬ মার্চের আয়োজনে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ অনুষ্ঠান। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিদেশি অতিথি থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।