ঝিনাইদহে শিশু শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মনিরুজ্জামান সুমন, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হযরত (৪৫) নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এঘটনায় শিশুটির মা প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়ে তিনি ঝিনাইদহ ইসলামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, রতনপুর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে বাড়ীর পাশে মাঠে শাক তুলছিল। এসময় প্রতিবেশী হযরত শিশু মেয়েটিকে জোরপূর্বক মুখ চেপে পাশ^বর্তী কুড়ে ঘরে নিয়ে ধষর্ণ চেষ্টা করে। এসময় মাঠের কুড়ে ঘরের পাশ দিয়ে হযরত এর ভাতিজা আয়ুব যাচ্ছিল, মেয়েটির চিৎকারে আয়ুব ওখানে ছুটে গেলে ধর্ষণ চেষ্টাকারী হযরত শিশু মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় আর বলে এই ঘটনা যেন কাউকে না বলতে, কাউকে জানালে শিশু মেয়েটিকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্ত ঘটনার কয়েকদিনপর আয়ুব এর পরিবার থেকে বারবার শিশুটিকে সাবধানে রাখতে বলে। একপর্যায়ে শিশুটির কাছ থেকে পুরা ঘটনা শুনে বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটির মা জহুরা খাতুন হযরত এর বাড়ীতে প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা করে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিশুটির দাদা জানান, তার নাতিন কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল। কিন্তু আয়ুব নামে একজন দেখে ফেলায় শিশুটিকে ধষর্ণ করতে পারেনি। ওই সময় ধর্ষণ চেষ্টাকারী হযরত শিশুটিকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়ায় শিশুটি বাড়ীতে কিছু জানায় না।
একপর্যায়ে যে ঘটনাটি দেখেছিল তার পরিবারের লোকের মাধ্যমে আমরা শুনতে পায়। বিষয়টি জানার জন্য শিশুটির মা জহুরা খাতুন হযরত এর বাড়ীতে গেলে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। এঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। গ্রামের মাত্বব্বররা বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।