রুহানীর স্বপ্ন জয়ের সারথী হলেন ঝিনাইদহ মেয়র মিন্টু
ঝিনাইদহের চোখ-
৪ ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় রুহানী আক্তার। ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ডাক্তার হবে। মেধাবী হওয়ার কারনে পিইসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পায় সে। সৌভাগ্যক্রমে ময়মনসিং মেডিক্যালে চান্স পেয়েছে এবার। কিন্তু পরিবারের যে সামার্থ্য তাতে তার মেডিক্যাল ভর্তি হওয়ায় সংশয় দেখা দেয়। সে কথা জানতে পেরে ঝিনাইদহ পৌরপিতা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু দাঁড়ান তার পাশে। কথা গুলো বলছিলেন সদ্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে চান্স পাওয়া ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের কুশনা গ্রামের রুহুল আমীনের মেয়ে রুহানী আক্তার।
রুহানী আক্তারের পাশে থাকা শিক্ষীকা আসমা খাতুন জানান, রুহানী ছোট বেলা থেকেইে মেধাবী। সে উপস্থিত বক্তুতায় খুলনা বিভাগে তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায়, বক্তৃতায়, কবিতা আবৃতি সহ হাতের লেখায় পারদর্শী। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ওর পাশে থাকার।
জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম রুহানী আক্তার মেডিক্যালে চান্স পেয়েছে কিন্তুু ভর্তি নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে। আমি তার সাথে কথা বলি। অন্যদিকে আমি জানতাম যে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু এ বিষয়ে আগে অনেককেই সহযোগীতা করেছেন। তখন আর দেরী না করে আমি তাকে মেয়রের সাথে দেখা করিয়ে দেই।
রুহানী আক্তার জানান, আমার দাদী ২০০৩ সালে অপারেশন থিয়েটাওে মারা যান। সেই গল্প পরিবারের মুখে শুনে আমি ছোট বেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখি। মেরিট লিষ্টে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ৮৮০ সিরিয়ালে রয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার স্বপ্ন দশের সেবা দিব। দেশের মানুষের পাশে দাড়াবো। আমার মা, বোন ও শিক্ষকদেও অনুপ্রেরনাতেই আজ আমি একানে আসতে পেরেছি। ঝিনাইদহ মেয়রের এমন সাহযোগীতা কথা আমি কোনদিনও ভুলবো না। আমি ও আমার পরিবার তার কাছে চিররিনি থাকবো।
ঝিনাইদহ পৌরপিতা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সুযোগ কওে দিয়েছেন সমাজের পিছিয়ে পড়াদেও সাহায্য করার। সেখানে থেকে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। মেডিক্যাল ভর্তি তেকে শুরু করে বই কেনা এমনকি হলে থাকার সিটের ব্যবস্থাও সে পাবে। আর ঝিনাইদহ পর্যন্ত আসা যাওয়ার ফ্রী গাড়ী সেবা পাবে সে। তবে বর্তমানে ২০হাজার ভর্তিও টাকা আপাতত তাকে দেওয়া হলো।