ঝিনাইদহের ছেলের কুকীর্তি ফাঁস/গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
ঝিনাইদহের চোখ-
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির হিজলগাড়ী কৃষি খামারের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম তার অফিসপিয়নের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়েছেন। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত ইনচার্জকে নিজেদের হেফাজতে নেন। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির হিজলগাড়ী কৃষি খামারের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ফার্মের একটি আবাসিক ঘরে পরিবার ছাড়া একাই বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাসার পাশেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তারই অফিসের পিয়ন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের দিন মোহাম্মদের ছেলে জহুরুল ইসলাম। ফার্মের ইনচার্জ কয়েক মাস ধরে পিয়ন জহুরুলের স্ত্রী লাইলা বাবু ওরফে বেবীর সাথে পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে তুলে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে পিয়নের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি খামারের আবাসিক এলাকায় মুখরোচক গল্পে পরিণত হয়।
রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জহরুল নিজ ঘর থেকে বের হয়ে পাশেই ফার্মের অফিসের সামনে বসে পাহারাদাদের সাথে গল্প-গুজব করছিলেন। এ সুযোগে মনিরুল ইসলাম জহুরুলের স্ত্রীকে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় বিষয়টি ফার্মের মামুন নামের এক পাহারাদার দেখতে পেয়ে দ্রুত জহুরুলকে জানায়। তখন জহুরুলসহ স্থানীয় কয়েকজন মনিরুলের ঘরে প্রবেশ করে তাদের হাতেনাতে আটক করেন। এসময় উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত ইনচার্জ মনিরুলকে গণধোলাই দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
বিষয়টি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনিরুলকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করেন। পরে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি সবেদ আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে দর্শনা থেকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসক) মাসুদ রেজা, জিএম (খামার) সুমন কুমার সাহা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির জিএম (ফার্ম) সুমন কুমার সাহা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্ত ইনচার্জের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, অফিসের পিয়নের স্ত্রীর সাথে কর্মকর্তার পরকীয়া প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভুক্তভোগী পিয়ন জহুরুলসহ স্থানীয়রা অভিযুক্ত খামার ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।