ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান চৌকষ সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোক
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপার্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস সেনা কর্মকর্তা ঝিনাইদহের অবসরপ্রাপ্ত মেজর রেজাউল হক এর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে। মৃত সেনা কর্মকর্তা ঝিনাইদহ পৌরসভাধীন ব্যাপারী পাড়ার মৃত ডাঃ পান্জু আলী ও মৃত সামছুন্নহার এর জৈষ্ঠ পুত্র ছিলেন।
তিনি গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার প্রথম প্রহরে ঢাকা বারীধারা ডিওএইচএস এর নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না———–রাজিউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর, জীবদ্দশায় তিনি এ্যজমা সহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভূগছিলেন।
রবিবার দুপুরে নামাজে জানাজা ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, সেনাসদস্য কতৃক গার্ড অভ অনার শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বনানী সামরিক কবরস্থানে মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত্যুকালে তিনি আমেরিকায় ইউনিভার্সিটি অভ ইন্ডিয়ান পলিশ এর সহকারী অধ্যাপক একমাত্র পুত্র সন্তান মুনিরুল হক রিয়াজ ও একমাত্র কন্যা সন্তান ঢাকা মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ শারমীন সুলতানা লুবনা সহ দুই ভাই,পাচ বোন ও নাতি নাতনী সহ অসংখ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর রেজাউল হক ঝিনাইদহ মডেল স্কুল থেকে এসএসসি,মাগুরা সোরওয়ারদী কলেজ থেকে এইচএসসি ও খুলনা বিএল কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তী হন পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্নাতক পাশ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে সেনাবাহিনীর (আর্টিলারী) গোলন্দাজ বাহিনীতে(৩২৭ নং আর্টিলারী কর্মকর্তা) হিসাবে যোগদান করেন পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাকিস্তান বান্নু সেনা ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন তিনি, ১৯৭২ সালে বন্দীদশা থেকে মুক্তিপেয়ে দেশে ফিরে ঢাকা ক্যান্টমেন্টে যোগদান করেন, পরে ১৯৭৭ সালে স্পেশাল মার্শাল্লা কোর্ট(২) এর বিচারক হিসাবে দ্বায়ীত্ব পালন করেন, এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম হালিশহর ক্যান্টঃ,বগুড়া মাঝিরহাট ক্যান্টঃ সর্বশেষ ঢাকা ক্যান্টমেন্টে (আর্টিলারী) গোলন্দাজ কর্মকর্তা হিসাবে দ্বায়ীত্বরত অবস্থা অবসর গ্রহন করেন।
তিনি সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীণ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্ত প্রহরী হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দ্বায়ীত্ব পালন করেছেন।
দেশরতœ অবসরপ্রাপ্ত মৃত মেজর রেজাউল হক এর আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তার পুত্র কন্যা সহ শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।