ঝিনাইদহ নৌকার প্রার্থী ৪২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন
বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি ইউনিয়নের ৯ টি কেন্দ্রে মাত্র ৪২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী।হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল এই ভোট পেয়েছেন।
ওই ইউনিয়েনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ৪ হাজার ৬’শ ২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ৪ হাজার ১’শ ৭৯ ভোট পেয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নুর উল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,ওই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪’শ ২৬ জন।যা ৯ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।মোট ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৪৪ টি। ৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩ টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১ টি করে ভোট। এ ব্যাপারে প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল বলেন, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর আমি আশা করেছিলাম ভোটে জিতব। কিন্তু এমন কেন হলো তা তো আমি এখন বলতে পারছি না। মূলত এখানে আওয়ামী লীগের দুইটা পক্ষ হয়ে যাওয়ার কারণে এটা হতে পারে।
বিজয়ী প্রার্থী অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন তিনি জনবিচ্ছিন্ন ছিলো।ইউনিয়নের মানুষ তাকে পছন্দ করেনি। দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল কিন্তু ভোটাররা তাকে পছন্দ করে না বলে আমাকে নির্বাচিত করেছেন।আমি মনে করি ইউনিয়নের ভোটাররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক।ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ তারা প্রতীক না প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন,ফলসী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর নিমাই চাঁদ মন্ডল কাজ করছিল। কিন্তু ভোট গ্রহণের আগে সে মাঠ ছেড়ে দেয়। যে কারণে তাঁর এই ফলাফল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগেরই একটি গ্রুপ তার বিরোধিতা করেছে বলেই সে আজ হেরেছে।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেক বলেন, একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ ভোট পেলে তার জামানত ফেরত পান। এর থেকে কম হলে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাই নৌকার প্রর্থীর ক্ষেত্রে একই অবস্থা হবে।এজন্যই তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।