ঝিনাইদহের বাজার সয়লাব নিষিদ্ধ পলিথিনে
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে পলিথিনবিরোধী অভিযান থেমে যাওয়ায় এ অবৈধ পণ্যটির ব্যবহার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। পলিথিনের শপিংব্যাগ মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে। চাল, ডাল, মাছ, মাংস ও সবজিসহ যাবতীয় পণ্য পলিথিনের ব্যাগে কেনাবেচা চলছে। আর ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ঘটছে পরিবেশ দূষণ। কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। পলিথিনের বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন হওয়ার পর এর ব্যবহার কমে যায়।
মোবাইল কোর্টে দণ্ডের ভয়ে দোকানিরা পলিথিনের ব্যাগে পণ্য বিক্রি প্রায় বন্ধ করে দেয়। তবুও কেউ কেউ লুকিয়ে বিক্রি করত। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান চালাত। অবৈধ পলিথিন জব্দ ও বিক্রেতাকে জরিমানা করত। এতে বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পলিথিনবিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ার পর ফের আগের চেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। কেউ বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে যায় না। দোকানদাররা পলিথিনের শপিংব্যাগে পণ্য ভরে দেয়। ব্যবহারের পর ড্রেনে, নদীতে বা রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ড্রেনে ফেলায় পয়নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নদীতে ফেলায় পানি দূষণ ঘটছে। এ ব্যাপারে মানুষ মোটেই সচেতন নয়।
আবুল হোসেন নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে মূল জায়গা অর্থাৎ যেখানে পলিথিন তৈরি হয় সেখান থেকে বন্ধ করতে হবে। আমরা দোকানদাররা সহজে এগুলো পাই। ক্রেতারা চায় বলে বিক্রি করি।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, করোনার কারণে পলিথিনবিরোধী অভিযান স্তিমিত হয়ে গেছে। তিনি জানান, অচিরেই প্রশাসন ফের পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে। মানুষকেও পলিথিনের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে বলে জানান তিনি।