হরিণাকুন্ডুর পল্লীতে কলা ক্ষেতে দুর্বৃত্তের হানা
আব্দুল্লাহ আল মামুন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিনোদপুর গ্রামে তিনজন কৃষকের কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পাতিবার ভোররাতে কে বা কারা কৃষকের দেড় বিঘা জমির ২শত ৫০ টি কলাগাছ কেটে দিয়েছে। ক্ষেতের বেশিরভাগ কলাই বিক্রয় উপযোগী ছিল। যার ক্ষতির পরিমাণ দেড় লক্ষ টারও বেশি।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে মধু মিয়া, রেজাউল ইসলামের ছেলে রাজিব বিশ^াস ও বজলুর রহমানের ছেলে বাদল বিশ^াসের মোট ৬০শতক জমির বেশির ভাগ কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তেরা। কাটা গাছগুলো বাঁশের খুটির উপার ভর করে ঝুলছে। বিক্রয় উপযুক্ত কলা যাতে বিক্রয় করতে না পারে এজন্য ধারালো অস্ত্রো দিয়ে কাধিতে থাকা কলাগুলো কাটা হয়েছে। দির্ঘ এক বছর অপেক্ষার পর কলাগুলো বিক্রয় করার আগেই কৃষকে ক্ষতি করতেই দুর্বৃত্তেরা এই কাজটি করেছে বলে ধরানা গ্রামবাসির।
কৃষক মধু মিয়া জানায়, বুধবার বিকালেও কলাসহ গাছগুলো ভালোছিল। সকালে মাঠে আসার আগেই গ্রামের লোকজন বলছে তোমাদের কলাগাছ কারা কেটে দিয়েছে। মাঠে এসে দেখি গাছগুলো মাঝ বরাবর কেটে কে বা কারা রেখে গেছে। এখন কার দোস দিব, কার নামে অভিযোগ করব। কারো সাথে তো আমাদের শত্রæতা নেই। তার নিজেরই প্রাই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানায়, এই কলা গাছগুলো পরিচর্জা করতে এক বছর সময় লাগে। আরকিছু দিন পরেই কলাগুলো বাজারে বিক্রয় করতে পারতাম। এখন রাতের আধারে কে বা কারা এই গাছগুলো কেটে দিয়ে গেছে। কাঁধি থেকেও কলাগুলো কেটে দিয়েগেছে এগুলো আর কোন ভাবেই বিক্রয় যোগ্য নয়। যে ক্ষতি হয়েছে তা সিমাহীন। তবে যারা এই কাজগুলো করছে তাদের আইনানুগ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
৫নং কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, দুঃখ জনক বিষয় হলেও সত্য, আমার নির্বাচিত এলাকার বিনোদপুর গ্রামের তিনজন কৃষকের ধরন্ত কলাগাছ মাজা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। সমাজের কিছু অসাধু কুচক্রকারী এই কাজগুলো করেছে। এই অসাধু কুচক্রকারীর হাত থেকে যেন আমাদের কৃষকরা রেহায় পাই, সেই পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ের বিনোদপুর গ্রামে কলাগাছ কাটার বিষয়ে ভূক্তভূগিরা একটি অজ্ঞাত নামা অভিযোগ করেছে। বিকালেই সরোজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। কৃষকের দুইশত অধিক কলাগাছ কাটা হয়েছে। এই কাজের সাথে কে বা কারা জড়িত, তা খুব শিঘ্রই দতন্তের মাধ্যমে খুজে দোষীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।