টপ লিডমহেশপুর

মহেশপুরে ৩০ বছর পর পৈতিৃক সম্পত্তি ফিরে পেলেন অসহায় রোকেয়া

ঝিনাইদহের চোখ-
ষার্টোদ্ধ অসহায় রোকেয়া বেগম জীবনের অর্ধেকটা সময় পৈতিৃক জমির ভাগ পেতে যুদ্ধ করেছেন। ঘুরেছেন সমাজের বৃত্তবান ও ক্ষমতাশীনের দ্বারে দ্বারে। তবে দীর্ঘ ৩০ বছরে ভাগ্যের এতটুকুও পরিবর্তন ঘটেনি। তার ভাগের পৈতিৃক জমিটুকু তার ভাই সদর আলী নিজ মালিকানায় বিক্রয় করেছেন অন্যত্র। জমিতো দূরের কথা পাননি পৈতিৃক জমি বিক্রয়ের কানাকড়িও।

অসহায় রোকেয়া বেগম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউপির আলামপুর গ্রামের মৃত আফছদ্দিনের মেয়ে ও ঝিনাইদহ জেলার সোনারদায়রা গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী।

গ্রাম্য শালিসে কোন প্রতিকার না পেয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে ডিউটি অফিসের রুমের সামনে ঘোরঘুরি করতে থাকেন রোকেয়া বেগম। সিসি ক্যামেরায় তা নজরে আসে মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়ার। ডেকে নেন নিজের রুমে। থানার আসার কারণ জানতে চাইলে সব খুলে বলেন রোকেয়া বেগম।

সবশুনে তাৎক্ষনিত পদক্ষেপ নিয়ে থানায় ডাকেন জমির দখলে থাকা আলামপুর গ্রামে খোরশেদ শেখের ছেলে মোস্তফা (৪২), আলম মাষ্টারের ছেলে ডলার (৩৮) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে আলী হোসেনকে (৬৫) ।

৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত করে গত সোমবার (১৬ মে) ফিরিয়ে দেওয়া হয় ১৮৩নং আলামপুর মৌজার ২১০নং খতিয়ানে রোকেয়া বেগমের ভাগের ৪২ শতক জমি। দীর্ঘ ত্রিশ বছরপর নিজ অধিকার ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নান ভেঙ্গে পড়েন অসহ্য় রোকেয়া বেগম।

এসময় রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাগে জমি ফিরে পেতে ত্রিশটা বছর কতনা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। সবাই আমাকে কোর্টে যাওয়া কথা বলেছনে। আমি কোর্টে কি বা বুঝি। নেই মামলা চালানোর টাকা। পরে আমি থানায় আসলে ওসি সাহেব আমার সমস্যার সমাধান করে প্রাপ্ত জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন। সে আমার সন্তানসমতুল্য। তার আমি জন্য দোয়া করি।

মহেশপুর ওসি সেলিম মিয়া বলেন, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমি ভদ্র মহিলাকে থানায় ঘোরঘুরি করতে দেখি। তাকে ডেকে নিয়ে জানতে পারি ঘটনার বিস্তারিত। পরে তার সমস্যার সমাধান করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রশংসা কিংবা বাহবার লক্ষে কোন কাজ করি না। আমি চাই অসহায় সুবিধা বঞ্চিতরা ন্যায় বিচার পাক। সাধারণ মানুষ আস্তা রাখুক পুলিশের উপর। দূর্নীতিবাজ, মাদকচোরা কারবারীদের কোন স্থান নেই আমার কাছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button