ঝিনাইদহে মিল পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে দুই টাকা কমেছে
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে চালের দাম মিল পর্যায়ে কেজিপ্রতি প্রকারভেদে দুই টাকা করে কমেছে। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম চার-পাঁচ দিন যাবৎ স্থির রয়েছে। আবার বিভিন্ন বাজারে একই চাল ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দামও মণপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা বাজারে খুচরা চাল বিক্রেতা পলাশ সাধু জানান, মোটা চাল স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে বেড়ে ৪৬ টাকা, বি-আর- ২৮ প্রতি কেজি ৫২ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৬ থেকে বেড়ে ৬৪ টাকা ও বাসমতি ৬৮ থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। তিনি আরো জানান, চার-পাঁচ দিন যাবৎ খুচরা বাজারে চালের দাম স্থির রয়েছে।
অপরদিকে শৈলকুপা বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা রবীন্দ্র সাহা বলেন, স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪২ টাকা, বি আর-২৮ প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা ও বাসমতি প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনিও বলেন, কয়েক দিন ধরে চালের বাজার স্থির রয়েছে।
ঝিনাইদহ বাজারে ক্রেতা এনামুল কবির বলেন, শুক্রবার মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৬ টাকা দরে কিনলেন। পণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের কোনো ঘাটতি নেই। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের ঘরে প্রচুর চাল রয়েছে।
শৈলকুপার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জন সাহা বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা করে কমেছে।
ঝিনাইদহের অটো রাইস মিল জোহান অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, চালের দাম মিল পর্যায়ে কেজিতে দুই টাকা করে কমেছে। বর্তমানে বাজারে চালের চাহিদাও কম বলে তিনি জানান।
অপরদিকে খোলা বাজারে মোটা ধান প্রতি মণ ১ হাজার ৫০ টাকা, মাঝারি চিকন ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, মিনিকেট ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং বাসমতি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষিপণ্য মার্কেটিং অফিসার গোলাম মারুফ খান বলেন, বাজারে প্রচুর ধান-চাল আছে। চালের দাম কয়েক দিন স্থির রয়েছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।