অন্যান্যশৈলকুপা

অস্ত্র-মাদকসহ ঝিনাইদহের সম্রাট গ্রেফতার

ঝিনাইদহের চোখ-
কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামী জেড এম সম্রাট ও তার দুই সহযোগী দ্বীন ইসলাম রাসেল ও ওসমান হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জেড এম সম্রাট ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে ও দ্বীন ইসলাম রাসেল কুষ্টিয়া পশ্চিম মজমপুর এলাকার মৃত গােলাম রসুলের ছেলে এবং ওসমান হাসান কুষ্টিয়া জুগিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২ টার সময় র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান।

র‍্যাব জানায়, কুষ্টিয়া র‍্যাবের কোম্পানী কোমান্ডার ক্সোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত (৪ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া শহরের আগা ইউসুফ মার্কেটের ৩ তলায় জেড এম সম্রাটের অফিস কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে ১টি ওয়ান শুটার গান, ৮ রাউন্ড গুলি, ৪ গ্রাম হেরোইন, ৪৯৫ পিস ইয়াবা, ১ বোতল বিদেশি মদ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ৪২০ গ্রাম গাঁজা, ৩টি গাঁজার গাছ, ৪ টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি কমান্ডো চাকু, ৪টি রামদা, ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র সহ জেড এম সম্রাট ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব আরো জানায়, জেড এম সম্রাট দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তার এই সকল কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করতো। নিজ জেলা ঝিনাইদহ হলেও বাবার কর্মসূত্রে সে ছােটবেলা থেকেই কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করতে শুরু করে। বর্তমানে সে কোন দলের কমিটিতে না থাকলেও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচিছল। এছাড়াও সম্রাট নিজেকে র‍্যাবের সাের্স বলে জাহির করতাে এবং এই পরিচয়ে সে লােকজনের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতাে বলে অভিযােগ আছে। কুষ্টিয়া শহরের মজমপুরে অফিস খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করতাে এবং তার বিরােধী পক্ষের লােকজনকে ধরে নিয়ে এসে নির্যাতন চালাতো। এসকল অপকর্মের ঘনিষ্ঠ সহযােগী হিসেবে দ্বীন ইসলাম রাসেল জড়িত। ভুক্তভােগী লােকজন প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাব ও পুলিশের নিকট বিভিন্ন অভিযােগ নিয়ে আসতাে।

এ ছাড়াও গ্রেফতারকৃত জেড এম সম্রাটের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় অস্ত্র আইনে ৩টি ও ১টি মারমারির মামলা রয়েছে। দ্বীন ইসলাম রাসেল এর বিরুদ্ধে ৩টি মারামারির মামলা, ২টি চাঁদাবাজির মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা ও ১টি মাদক মামলা রয়েছে এবং ওসমান হাসান এর বিরুদ্ধে ১টি মারামারির মামলা রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এবিষয়ে র‍্যাব -১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার ইলিয়াস খান বলেন,“ ‍‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই শ্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালাে ভূমিকা পালন করে আসছে।

র‍্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গােলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের মনে আস্থা অর্জন করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে র‍্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান সচল রেখে সন্ত্রাস মুক্ত সােনার বাংলা গঠনে র‍্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button