ধর্ম ও জীবন

স্বপ্ন দেখার পর করণীয়

ঝিনাইদহের চোখঃ

দিনের কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষ যে সমস্ত কাজ করে, কর্ম ও চলার সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর একটি প্রভাব মানুষের ঘুমে ঘটে থাকে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে তার কর্ম অনুযায়ী ভাল মন্দের একটা প্রভাব পড়ে। তাইতো মানুষ অনেক নানা রকম স্বপ্ন দেখে থাকে। অনেক সময় অনেক স্বপ্ন কর্মজীবনের ঘটে যাওয়া বিষয়ে ক্লান্ত শরীরে দেখে থাকে আবার অনেক স্বপ্ন দিক নির্দেশনামূলকভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সতর্ক-সুসংবাদস্বরূপ দেখিয়ে থাকেন। এই স্বপ্ন দেখার পর আমাদের কিছু করণীয় বিষয় আছে, যা পালন করা একান্ত আবশ্যক-

ভাল স্বপ্ন দেখলে করণীয়-
১. আলহামদুলিল্লাহ পড়া
২. স্বপ্নে প্রাপ্ত সুসংবাদ গ্রহণ করা
৩. প্রিয় ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করা
৪. যে ব্যক্তি স্বপ্ন সম্পর্কিত ভালো জ্ঞান রাখে তার কাছে স্বপ্নের কথা প্রকাশ করা
৫. বেশি বেশি দান করা।

মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয়-
১. ‘আউ’যুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বানির রাজিম’ তিন বার পড়া
২. বাম দিকে তিন বার থু থু ফেলা
৩. পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া
৪. কারও কাছে স্বপ্নের কথা প্রকাশ না করা
৫. অসহায়দের মাঝে দান করা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ যদি ভয় পায় (এবং ভয়ে ফলে মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে তবে নিম্মোক্ত আমলটি করলে) তখন সে যেন উক্ত দু’আ পাঠ করে। ফলে কোনো কুমন্ত্রণা তার ক্ষতি করতে পারবে না। (জামে আত-তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ)

দু’আটি এই-
আউ’যু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন গাযাবিহি ওয়া ই’ক্বা-বিহি ওয়া শাররি ই’বা-দিহি ওয়া মিন হামাঝা-তিশ শাইয়া-ত্বিনি ওয়া আঁইয়াহযুরু-ন।

অর্থ : আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্য সমূহের মাধ্যমে তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের অপকারিতা হতে, শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে এবং তাদের উপস্থিতি হতে। (জামে আত-তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন আমীন। ছুম্মা আমীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button