ঝিনাইদহে প্রবাসীর রক্ত ঝরানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল স্ত্রী!
ঝিনাইদহের চোখ-
দরিদ্র পরিবারের ছেলে পলাশ হোসেন। পরিবারের অভাব ঘুচাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে যান। গিয়েছিলেন নিঃস্ব হয়ে ৫ বছর পর বাড়ী ফিরে দেখলেন এখনও তিনি নিঃস্ব । স্ত্রী দ্বারা প্রতারিত হয়ে থানায় দিয়েছেন অভিযোগ।
পলাশ হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান মন্ডলের ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে কোটচাঁদপুর উপজেলার আজমপুর গ্রামের মুকুল মন্ডলের মেয়ে শাকিলা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় তার। সৌদিতে কাজ করে যা আয় করেছেন দিয়েছেন স্ত্রীর হাতে। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্ত্রী। কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না তাকে। এ ঘটনায় তিনি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
নিজের সহায় সম্বল হারিয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন। কষ্ট করে উপার্জন করা সম্বল হারিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কষ্টের টাকা ফিরে পেতে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সকালে পলাশ হোসেন জানান, অভাবের সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে ধার-দেনা করে তিনি বিদেশ গিয়েছিলেন। দেশে আসার পর তিনি ডলার ভাঙিয়ে ৪ লাখ টাকা বাড়িতে আনেন। এছাড়াও গরু বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন। বিদেশ থেকে আনা ৮ ভরি স্বর্ণসহ মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্ত্রী শাকিলা আক্তার। কিভাবে তিনি এখন দিন পার করবেন সেই চিন্তায় পড়েছেন।
পলাশ হোসেনের বাবা মতিয়ার মন্ডল জানান, ধার-দেনা করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। হঠাৎ গত শুক্রবার রাতে ছেলের বউ টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন পলাশ হোসেন। তার স্ত্রীকে উদ্ধারে কাজ চলছে।