ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে নিবন্ধনহীন বাস-মিনিবাস

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারি বিভন্ন চেষ্টা ও কার্যক্রম জোরদার করা হলেও বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি পাঁচশতাধিক যানবাহন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করছেনা না।

ফলে অনোনুমোদিত এসব যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটালে বা যাত্রীদের যথাযথ সেবা দিতে না পারলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামীণ রুটে বাস ও মিনিবাস চালকদের বেষিশরভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অনভিজ্ঞ।

তাছাড়া অনেক চালক ও হেলাপারের বৈধ কাগজপত্র নেই। তাছাড়া রাজস্ব বৃদ্ধির সব সরকারি চেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। যদিও বাস-মিনিবিাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, তারা সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চান।

বাংলাদেশ সড়ক পরিহন কর্তৃপক্ষের ঝিনাইদহ অফিসের সহকারি পরিচালক বিলাস সরকার জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর হলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাইলেও বাস-মিনিবাস মালিকরা তোন তথ্য না দেওয়ার কারণে সঠিক সংখ্যা বা পরিসংখ্যান তারা জানতে পারছেন না। যারা ওই অফিসে ফিটনেস সনদ বা রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে তাদের অফিসে আসেন, শুধু তাদের বিষয়েই তথ্য পাওয়া যায়, বাকিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। মাঝে-মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে অনোনুমোদিত যানবাহনগুলো সাময়িক নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে জানান, উপ-পরিচালক বিলাস সরকার।

ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবিাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু জানান, মোট সাতশ’র মত বাস-মিনিবাস ঝিনাইদহে চলাচল করে।
এরমধ্যে ঝিনাইদহ-হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহ-হাটফাজিলপুরে রুটে একশ তেষট্টিখানা বাস চলাচল করে থাকে। এদের অধিকাংশের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটসেন নিশ্চিত করা যায়নি প্রশাসনিক কিছু সমস্যার কারণে। যেহেতু দীর্ঘদিন কাগজপত্র নিয়মিতকরণ করা হয়নি, এক একজন মালিকের কাছে প্রচুর সরকারি রাজস্ব বকেয়া পড়ে গেছে যা একসঙ্গে পরিশোধ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না।

তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঝিনাইদহ সহকারি পরিচালক ও তাদের কেন্দ্রীয় অফিস, শ্রম মন্ত্রলালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়ে তারা জানান, একবারে বকেয়া পরিশোধ না করে ন্যূনতম চার্জ ধার্য করে যদি তাদের যানবাহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ করে দেওয়া যায়। তবে একদিকে যেমন ওইসব মালিক আর্থিকভাবে রক্ষা পাবেন, সরকারও মহতী উদ্যোগ পদ্মা সেতুর মত আরও একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে সেই অর্থ দিয়ে। তাছাড়া, কাগজপত্র একবার হালনাগাদ হলে আর বকেয়া পড়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button