অন্যান্য

ডিজে–গান বাজনা নিষিদ্ধ, কঠোর নজরদারির নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে থার্টি ফার্স্ট (৩১ ডিসেম্বর) নাইটে ঢাকায় ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় কমিশনার বলেন, আসন্ন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ ও ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’কে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। যাতে কুচক্রীমহল কোনো ধরনের সুযোগ নিতে না পারে। উন্মুক্ত স্থানে, বাসার ছাদে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফাস্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে। কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

৩০ ডিসেম্বর রাত থেকেই নগরীর সব ধরনের বার বন্ধ থাকবে। সব ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডি কার্ড ব্যতীত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবির স্টিকার থাকতে হবে। বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকলে প্রক্টরিয়াল বডিকে তা বের করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ৬৮টি চার্চে বড়দিনের ধর্মীয় উৎসব পালিত হবে। উৎসবের নিরাপত্তার বিষয়ে কমিশনার বলেন, বড়দিনের অনুষ্ঠান নিরাপদে সুন্দরভাবে করতে রাষ্ট্র সব ধরনের নিরাপত্তা দিবে। বড়দিনের নিরাপত্তায় প্রত্যেকটি চার্চে পোশাক ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে গেট থাকবে। তল্লাশির ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠান স্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স। আতশবাজি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে যাওয়া যাবে না।

সমন্বয় সভার আয়োজন করে ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ। সভায় ডিএমপি কমিশনার ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button