ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলায় কালীগঞ্জ দুলালমুন্দিয়া নিজ গ্রামেই কলেজ স্থাপনের কারণে বেসরকারি চাকুরী ছেড়ে যোগদেন কলেজে। কলেটির নাম আসাদুজ্জামান হোসনিন কেয়াবাগান আদর্শ কলেজ। তার আগে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন রেজাউল করিম।
চাকুরীতে যোগদান করেন ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর। যোগদানের পর হতে কলেজটি এমপিও না হবার কারণে বিনা বেতনে চাকুরী করতেন রেজাউল করিম। আশা ছিলো মৃত্যুর পূর্বে কলেজটি এমপিও হবে। কিন্তু বিধিবাম!কলেজটি এমপিও হবার আগেই নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে রেজাউল করিম পাড়ি দিয়েছেন পরপারে।
কলেজের ইংরেজি প্রভাষক তরিকুল ইসলাম জানান, কলেজটির ভকেশনাল (কারিগরি) শাখাটি চলতি বছরে এমপিও হলেও মানবিক বিভাগের বেতন হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করতেন।
তিনি আরো জানান-অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের তিন সন্তান। সকলেই উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত। বড় ছেলে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স, দুই কন্যাও ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত।তাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো রেজাউল করিমকে।
আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় যশোর সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।