ইবিসহ সারাদেশে ব্রেষ্ট ক্যান্সার সচেতনতার গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা
রানা আহম্মেদ অভি, ইবি, ঝিনাইদহের চোখ-
ক্যাপ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাসে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গোলাপি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) সেই ধারাবাহিকতা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছে।
জানা যায়, সংগঠনটির উপদেষ্টা হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন নেতৃত্বে ৩ দিন ব্যাপী গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। প্রথমদিন শনিবার (২৯ অক্টোবর) লালমাটিয়া থেকে যাত্রা শুরু হয়। আলোচনা সভাটি রবিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ফলিত বিজ্ঞান ভবন এর ১৪০ নং গ্যালারি রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনসহ আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নুসরাত জাহান সৌরভ, জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত মসিহউদ্দিন শাকের, সাফের চেয়ারম্যান মির আব্দুর রাজ্জাক,খায়রুল আমিন,সাজ্জাদ মাবুদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ এর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেনসহ ২ জন ডাক্তার ও সাংবাদিক বৃন্দসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়াও ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের প্রেসিডেন্ট সিয়াম মির্জার নেতৃত্বে ও সিদওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ ক্যান্সার সচেতনতায় করণীয় বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মসিহউদ্দিন শাকের, স্বলিখিত কবিতা ‘ক্যান্সারের গান’ পাঠ করেন এবং সবশেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজমিন সুলতানা মিমি।
অলোচনা সভায় সংগঠনটির উপদেষ্টা হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, ‘ ৫-৫-৭ মেনে চলার কথা। ৫ টি ব্যাপার তথা বাল্যবিবাহ, তামাক, লালমাংস, একাধিক সঙ্গী ও বিশৃঙ্খল জীবন ত্যাগ করার কথা, ৫ টি ভালো অভ্যাস তথা পরিচ্ছন্নতা, পরিমিত ফল ও সবজি খাওয়া, ব্রেস্ট ফিডিং, ভ্যাকসিন ও নিয়মিত স্ক্রিনিং এর কথা বলেন। এবং এই ৭ টি লক্ষণ এর কথা বলেন যা সাধারণ মনে হলেও হতে পারে ক্যান্সার এর লক্ষণ। তিনি আরো বলেন, “আমরা ক্যান্সার নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করতে চাই না,সচেতন করতে চাই। ”
ক্যাপের প্রেসিডেন্ট সিয়াম মির্জা বলেন, ” আমরা একটি যুদ্ধে নেমেছি এবং সেটা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। স্যারও এই যুদ্ধেই নেমেছেন। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশের একজন মাও যেন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতন না হয়ে মারা না যাক। কোনো মায়েরই প্রাপ্য নয় কেবল লজ্জা ও জড়তায় এই নীরব ঘাতক ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করা”।