মহেশপুর

মহেশপুরে ড্রাগন গাছ কাটা ও ফল চুরির মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন

মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ চোখ-
বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত মঙ্গলবার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ,ড্রাগন গাছ কাটা ও ফল চুরির অপবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগির পিতা আমিরুল ইসলাম ।

বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন(১৫) রাজন হোসেন(১৭) সাব্বির হোসেন(১৫)আব্দুর রহিম (১৬)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইমরানের পিতা আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১/৯/২২ তারিখে আমার ছেলে ইমরান হোসেন মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে বেড়াতে যান। ওইদিন সন্ধ্যা রাতে আমার ছেলে ইমরান হোসেন,বন্ধু রাজন হোসেন,সাব্বির হোসেন, আব্দুর রহিম পাশের বিজিবি সদস্য কামাল হোসেনের ড্রাগন বাগানে যায়।
বাগান থেকে তারা দুইটি ড্রাগন ফল তোলেন। এ ঘটনা বাগান মালিক বিজিবি সদস্য দেখে ফেলে, তাদেরকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ইমরানের বন্ধুরা সবাই পালিয়ে যায়। ধরা পড়েন ইমরান হোসেন। এরপর কামাল হোসেন তাকে নিয়ে গিয়ে ড্রাগন বাগানের ঘরের খুটির সঙ্গে বেধে রেখে,সারারাত নির্যাতন করেন।
ধারালো অস্ত্র কাচি দিয়ে কোপমেরে কেটে দেন ইমরানের পিটের মাংশ। এতে করে সারারাত তাঁর রক্তক্ষরন হয়।

আমিরুল বলেন,বাগান মালিক কামাল হোসেনের নির্যাতন ও রক্তক্ষরনে সে ভোরের দিকে অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় কামাল অবস্থার বে-গতিক দেখে পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে ইমরানকে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।

পরে ওই পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে আমার ভাগ্নে খবর পান। সে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুচলিকা দিয়ে আমার ছেলেকে, তাঁর হাত থেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
খবর পেয়ে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। চিকিৎসার খোজ খবর নিয়ে, ঝিনাইদহ আদালতে একটা মামলা দায়ের করি। কোর্ট মামলা তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয় মহেশপুর থানায়। থানার অফিসার ইনর্চাজ মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দেন উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলামের উপর।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে কামাল হোসেনের বাগান থেকে ড্রাগন চুরি ও গাছ কাটার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনি মহেশপুর থানায় জিডি ও করেছেন। জিডিতে তিনি কে বা কাহারা উল্লেখ করলেও সাংবাদিকদের কাছে আমার ছেলে সহ তাঁর বন্ধুদের নামে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।

তাতে ফল চুরি ও ড্রাগন গাছ কাটার অভিযোগ করা হয়েছে আমার ছেলে সহ বন্ধুদের বিরুদ্ধে।
তিনি পত্রিকায় এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।

আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা যেন বিষয়টি সুষ্টু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করেন এবাং প্রকৃত দোষীদের চিহৃিত করে আইনের আওতায় আনেন।

এ ব্যাপারে বিজিবি সদস্য কামাল হোসেন বলেন,আমার মাঠে ৫/৬ বিঘা ড্রাগনের চাষ আছে। প্রতিনিয়ত বাগান থেকে ফল চুরি হয়ে যায়। ওইদিন আমি বাড়িতে ছিলাম। রাতে ড্রাগন বাগান পাহারায় যায়। রাত তখন ২ টা বাজে। ৫/৭ আমার বাগানের পাশে এসে গালি দিতে থাকে। এ সময় আমি ভয়ে পাহারা দেয়া ঘর ছেড়ে দুরে চলে যায়। আমি ভাবছিলাম যদি চোর হয়,তাহলে বাগানে ঢুকবে।
আর যদি আমাকে মারতে আসে, তাহলে আমার পিছনে ধাওয়া করবে। দুর থেকে দেখি তারা বাগানে ঢুকে ফল তুলছে। এ সময় আমি তাদের ধাওয়া দিই।ধাওয়া খেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। ধরে ফেলি ইমরান নামের ওই ছেলেটি।
ধরার সময় তাঁর পিঠে কিসে কেটে গেছে আমি জানিনা।পরে জানতে পারি কেটে গেছে। তিনি কাচি দিয়ে কোপ মারা কথা ও অস্বীকার করেন।
সম্প্রতি ওই বাগান থেকে আবারও ফল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কেটে দিয়েছেন ড্রাগন গাছ।
আমি ওই সময় চাকুরিতে থাকায় আমার মা মহেশপুর থানায় জিডি করেন। তবে আমার ধারনা তারা ছাড়া এমন ক্ষতি আমার কেউ করবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button