টপ লিডহরিনাকুন্ডু

স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় হরিণাকুন্ড জসিম হত্যা

এইচ মাহবুুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আলোচিত জসিম হত্যার মোটিভ উদ্ধার করে আসামীদের ১৩ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ।

এ হত্যার নায়ক ও হত্যাকারীকে উপস্থাপন করার পাশাপাশি হত্যার কারণ উপস্থাপন করে এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার সকাল ১১ টায় হরিণাকুণ্ডু থানা চত্তরে অনুষ্টিত সংবাদ সন্মেলনে তিনি হত্যার ঘটনার কারণ বিস্তারিত তুলে ধরেন, এসময় তিনি হত্যার স্বীকার জসিম উদ্দীনের নেতিবাচক চরিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সে দ্বীর্ঘ্য দিন ধরে বিভিন্ন নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করার কারণে তার স্ত্রীর মনের মধ্যে প্রতিশোধে স্পৃহা জন্ম নেয়। মনে জলতে থাকে তুষের আগুন।
এক পর্যায়ে স্ত্রী রিতা খাতুন মরিয়া হয়ে ওঠে,বিভিন্ন সময় স্বামীকে নিয়ন্ত্রনে আনতে বোঝাতে থাকে।তার পরও ব্যর্থ হয় সে, অবশেষে রিতা খাতুন একই গ্রামের জালাল মণ্ডলের ছেলে মালেকের সাথে যোগাযোগ করে। স্বামী জসিম উদ্দীনকে হত্যার শড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় দুইজন।

সুযোগের অপেক্ষায় থেকে গত ১৬ নভেম্বর বুধবার রাতে রিতা খাতুন তাকে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ খাওয়ালে স্বামী জসিম অচেতন হয়ে যায়। রাত একটু গভির হলে দুইজনে মিলে জসিমের অচেতন দেহ টেনে হিচড়ে বাড়ির পিছনে মেহগনি বাগানে নিয়ে যায় এবং গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এ সকল বিষয় আসামী স্ত্রী রিতা খাতুন ও মালেক গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বলে থানা শীর্ষ কর্মকর্তা জানান। আলামত হিসেবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা দড়ি ও টিশার্ট জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,থানা সেকেণ্ড অফিসার এস আই দিপ্তেশ রায়,এসআই সাইফুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিশ ও এএসআই রেজওয়ান। এসময় হরিণাকুণ্ডুতে কর্মরত সকল ইলেক্ট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button