অপহরণ মামলায় ঝিনাইদহের নুরুর যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহ চোখ-
পাবনার বেড়ায় অপহরণ মামলার দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার শৈলকোপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ, কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ এবং একই এলাকার খলিল।
রায় ঘোষণার সময় আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ থেকে পাবনার বেড়ার রামনারায়পুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে আসেন সবুজ। ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ। পরের দিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সবুজ ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে এ বিষয়ে বেড়া থানায় অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মণ্ডল। অভিযোগের সূত্র ধরে সবুজকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে না পারায় আসামিদের বিরুদ্ধে শুধু অপহরণের মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১১ জনের সাক্ষ্য শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ‘যেহেতু লাশ উদ্ধার হয়নি এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার হয়েছে।’
এদিকে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী তৌফিক ইমাম খান বলেন, ‘রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’