ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে দুদকের হানা!
ঝিনাইদহের চোখঃ
দুর্নীতি দমন (দুদক) কমিশনের একটি তদন্ত টিম ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের কাজের গুণগতমান ও অবকাঠামোগত কাজের অনুসন্ধান করছেন। দুদক যশোর আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি ডাইরেক্টর নাজমুস সায়াদাত ও এডিশনাল ডাইরেক্টর শহিদুল ইসলাম মোড়ল ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের কাজে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তদন্ত করছেন। দুদক যশোর আঞ্চলিক অফিসের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্র মতে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন প্রজেক্টের কাগজপত্র দুদক যাচাই-বাছাই করেন। তারা বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে কাজের বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
দুদক কর্মকর্তারা ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া সড়কে গত অর্থবছরে যশোরের ঠিকাদার মইনুদ্দীন বাশির পিএমপি প্রজক্টের কাজ দেখেন। এ সময় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মুজিবনগর সড়কে মোজাহার লিমিটেডের কাজের গুণগত মান যাচাই করেন। অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের সাবেক দুই নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ও মোয়াজ্জেম হোসেন জুন ফাইনালে ডিপিএম, এলটিএম, কোটিশেন ও আরএফকিউ এর ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন।
ইজিপির ওপেন টেন্ডার ব্যতীত স্থানীয়ভাবে তারা বিভিন্ন ঠিকাদারের নাম ব্যবহার করে এই টাকা লোপাট করেন। কিছু কিছু ঠিকাদার এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। কেবল চেক ভাঙ্গানোর সময় তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল বলে জানান।
এছাড়া শৈলকুপা, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ যশোর ও মহেশপুরের, ঝিনাইদহ থেকে হরিণাকুণ্ডু রোডসহ বিভিন্ন সড়কে নিম্নমানের কাজ করে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে কোটি কোটি টাকার বিল তুলে নেন। এ সব কাজ শেষ হতে না হতেই নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে ঝিনাইদহ মুজিবনগর রোড এবং ঝিনাইদহ-হরিনাকুণ্ডু প্রজেক্টে অতি নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এসডি তানভির আহম্মেদ খবর নিশ্চিত করে জানান, দুদক যশোর আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি ডাইরেক্টর নাজমুস সায়াদাত ও এডিশনাল ডাইরেক্টর শহিদুল ইসলাম মোড়ল দুই দিনব্যাপী ঝিনাইদহের বিভিন্ন কাজের গুণগত মান পরিদর্শন করেন। এছাড়া তারা ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত করা কাজের সমস্ত কাগজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।