কালীগঞ্জটপ লিড

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই!

আরিফ মোল্ল্যা, ঝিনাইদহের চোখঃ

হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ২টি কিন্তু চালক নেই একজনও। এ কারণে জরুরিভিত্তিতে রোগী বাইরে নিয়ে যেতে রোগীর লোকজনদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহব্যাপী এমন অবস্থা বিরাজ করছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এখানে দায়িত্ব পালনকারী অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছাড়পত্র নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করায় হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি চালক শুন্য হয়। এরপর গত ১ জুন কামরুজ্জামান নামের একজন চালক যোগদান করেই দুইদিনের ছুটি নেন। কিন্ত ছুটি কাটিয়ে তিনি এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এ কারণে গত ৩ জুন ও ৯ জুন তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ১ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত জরুরি বিভাগ থেকেই মোট ৭ জন এবং ভর্তিকৃত রোগীর মধ্যে ১১ জন মিলে মোট ১৮ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

রেফার্ড হওয়া এক রোগীর স্বজন শাহিন হোসেন জানান, অবস্থার অবনতির কারণে হাসপাতাল থেকে তার এক আত্মীয়কে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় তাদেরকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে শহরের একটি মাইক্রোবাস ১ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে যশোর যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, গুরুতর মুহূর্তে টাকাটাও বড় কথা নয়। দ্রুত পৌঁছানোটাই বেশি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স নিতে পারলে একদিকে টাকা সাশ্রয় হতো অন্যদিকে দ্রুত পৌঁছানো যেত। তিনি বলেন, একটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকাটা দুঃখজনক

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ডা. হোসাইন সাফায়েত ঝিনাইদহের চোখ’কে জানান, নতুন অ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান করেই তিনি আর কর্মস্থলে আসেননি। অফিসিয়ালী এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুটি কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। তিনি নিজেও স্বীকার করে বলেন, জরুরি মুহূর্তে রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক ব্যাপার। ফলে এ সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button