ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহের ‘যুবরাজ’ এখন কোথায় ? (ভিডিও সহ)

#ঝিনাইদহের চোখঃ

তিন দিন আগে ঝিনাইদহ থেকে গাবতলীতে আনা হয়েছে ‘যুবরাজ’কে। প্রতিদিনই দুই টন ওজনের গরুটিকে দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এর দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।

প্রথমবারের মতো গরু নিয়ে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন মো. শাহে আলম মিয়া। ঝিনাইদহের আব্দুল্লাহ অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম থেকে আনা হয়েছে যুবরাজ, সাহেব, বাদশা, রবিসহ পাঁচটি গরু।

ফার্মটির মালিক শাহে আলম বলেন, সাত বছর আগে গরু পালন শুরু করি। এবারই প্রথম গাবতলীর হাটে গরু নিয়ে এসেছি। গতবার গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে।

তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় গরুর নাম যুবরাজ। ঝিনাইদহ থেকে বাছুর অবস্থায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় তাকে কিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর লালনপালন করে এবার হাটে এনেছি। এটা ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।

‘যুবরাজকে দানাদার খাবার বেশি খাওয়ানো হয়। ধান, গম, ভুট্টা, খেসারি মিশিয়ে প্রতিদিন দুই বেলা করে খাওয়ানো হয়। ১৭ কেজি সকালে ও রাতে ১০ কেজি খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। প্রতিদিন ৪২ কেজি করে ঘাসও খায় যুবরাজ। নিয়মিত খৈল-ভুসি ছাড়াও প্রতিদিন আট-নয়শত টাকার পাকা কলা খাওয়ানো হয় তাকে। প্রতিদিন অন্তত ১৬ থেকে ১৭শত টাকা খরচ হচ্ছে যুবরাজের পেছনে।’

শাহে আলম বলেন, খামারে গরু দেখভালের জন্য আমি ছাড়া আরও আট জন আছে। হাটে গরুগুলোকে দেখভালের জন্য আছে সাত জন রাখাল। যুবরাজের জন্য খামারে সারাক্ষণ দু’টি ফ্যান চালু রাখা হতো। গত সাড়ে তিন বছরে এর পেছনে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। গরুটি বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হবে না। শুধু খামারের সুনামের জন্যই এ হাটে আনা।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button