#শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে নিহত মিমের মা মঞ্জুরা বেগম বাদি হয়ে স্বামী এখলাস কে ১নং আসামি করে মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী এখলাস পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি আসামিদের নাম প্রকাশ করতে চান নি। তিনি আরো বলেন, হত্যার প্রধান আসামি মিমের স্বামীর অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করতে পারবেন।
উল্লেক্য প্রায় ৩ মাস কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে এখলাস আলী প্রেম করে মিমকে বিয়ে করে। কিন্তু এখলাসের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ঢাকায় যাবার কথা বলে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। পরে কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের লিচু বাগানে বসে তারা গল্প করে। রাতে মিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী এখলাস পালিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ লিচু বাগানের মধ্যে থেকে মিমের মৃত দেহ উদ্ধার করে।
ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান আরো জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।