কোটচাঁদপুর

ঝিনাইদহে এইচএসসি পাশ যুবতীর ৬০ বছরের স্বামী !

#ঝিনাইদহের চোখঃ

নাম মেঘলা। সবে মাত্র এইচ.এস.সি পাশ করেছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের মোমিনুর রহমানের মেয়ে।

অথচ এই বয়সে সে বেপরোয়া জীবন যাপন। যুবক বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে টার্গেট করে তৈরী করে বিয়ের প্রতারণার ফাঁদ। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায় কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে এই চক্রের আনাগোনা। অনেক মানুষ সর্বশান্ত হলেও কোন প্রতিকার নেই। ফলে দিনকে দিন তারা বেপরো হয়ে উঠেছে। মেঘলা চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকেই আজ নিঃস্ব। এমন একজন স্কুল শিক্ষক কালীগঞ্জের প্রায় ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ স্কুল শিক্ষক। তাকে অপহরণ করে ভুয়া কাবিন বানিয়ে বিয়ের ছক তৈরী করেছে মেঘলা।

কোটচাঁদপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাসে বহু অজ্ঞান রোগিকে তারা চিকিৎসা দিয়েছেন। কিন্তু কারা এই অজ্ঞান পার্টির হোতা ? সুত্র জানায় কিছু উঠতি বয়সী যুবকদের নিয়ে মেঘলা খাতুন প্রতারক চক্র গঠন করেছে। মেঘলা খাতুন এই বছর এইচএসসি পাশ করেছে কোটচাঁদপুর পৌর কলেজ থেকে।

মেঘলার সাথে আছে জালালপুরের মৃত আজগার আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন, মৃত মাহবুব আলীর ছেলে ওবায়দুল হক, ফুড গোডাউনের গার্ড আমজাদ আলীর মেয়ে শারমিন আক্তার, বহরমপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আবু হানিফ, কুশনা ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিষ্টার রেজাউল হক ও কালীগঞ্জের মনিরুল।

মেঘলার বাড়ি কাগমারি হলেও সে কোটচাঁদপুর গাবতলাপাড়া একটি বাড়িতে একাই ভাড়া থাকে। মেঘলা কোটচাঁদুপর শহরে একটি আলোচিত নাম। তার বেপরোয়া চলাফেরার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বাসাভাড়া নিয়ে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি।

ইদানিং মেঘলা ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে নিজের স্বামী দাবি করে আদালতে যৌতুকের মামলা করেছে। এর আগেও সে এরকম ভুয়া বিয়ে দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তার পিতা মোমিনুর রহমান দাবী করেছে তার মেয়ের কোন জায়গায় বিয়ে হয়নি। পিতার কথা যদি সঠিক হয় তবে এই বৃদ্ধের নামে কেন বিয়ে ও যৌতক মামলা করা হলো ?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button