ঝিনাইদহের চোখঃ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশের কোনো ব্যবস্থা নেই।
ফলে এই রাস্তায় চলাচলে প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হয়। মাঝে মাঝে একজন ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কেউ থাকেন না।
বেনাপোল ও দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন কালীগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের সাথে দেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় চলাচলকারী যানবাহনও এই শহরের উপর দিয়ে চলাচল করে। কালীগঞ্জে শহরের এই বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী পাভেল মোলস্না জানান, এই শহরে আছে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল। এই মিল থেকে আখ ও চিনি পরিবহণের জন্য প্রতিদিনই ভারী যানবাহন চলাচল করে। সড়ক পথে চলাচলকারীদের জন্য কালীগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ডটি ভোগান্তির কারণ হলেও এখানে স্থায়ীভাবে কোনো ট্রাফিকের ব্যবস্থা নেই।
কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর-মহেশপুর উপজেলা মোটর মালিক সমিতির সম্পাদক মন্টু আহমেদ মটু জানান, এটা একটা বড় মোড়, বাস-ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে, অথচ এখানে ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যবস্থা নেই। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় মোটর মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ওখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন কাজ করেন।
ঝিনাইদহের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সালাহউদ্দীন বলেন, ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগে জনবল কম থাকায় এ সংকট চলছে।
তবে বিভিন্ন সময় জেলা ট্রাফিকের একাধিক এটিএসআই ও সার্জেন্ট নিয়মিত টহল দিয়ে থাকেন।