হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
সারা দেশের ন্যায় আগামী ২ নভেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় শুরু হতে যাচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা।
কালীগঞ্জে এবার ১০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে ৫ হাজার ১ শ ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সূবর্না রানী সাহা স্বাক্ষরিত স্মারক নং ০৫৪৪৪৪৩৩০০০০০৬০১১, ১৯-৮১৬ তাং ২৯/১০/১৯ পত্রে জানা গেছে কালীগঞ্জে স্কুল ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ১০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ৮ টি, জেডিসি কেন্দ্র ২ টি। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে সরকারী নলডাঙ্গা ভূষন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, বারোবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বগেরগাছি নওদাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রোস্তুম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শোয়াইব নগর ফাজিল মাদ্রাসা, বেলাট দৌলতপুর আলীম মাদ্রাসা। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে ৪ হাজার ২৩৬ জন এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে ২ টি কেন্দ্রে ৮৯৮ জন। কিন্তু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত গত ২২/১০/১৯ ইং তারিখের এক পত্রে দেখানো হয়েছে ঐ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০০ জন শিক্ষার্থী। অথচ এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ টি স্কুলের যশোর শিক্ষা বোর্ডের রোল শিট মোতাবেক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে ৮৮৯ জন। এই কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দেখিয়েছেন ৭০০ জন। কি কারনে এই কেন্দ্রের সচিব ১৮৯ জন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম দেখিয়েছেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যারা পরীক্ষা দেবে তারা হলো-সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৭১ জন, কেবি রামনগর হতে ৮২ জন, নলডাঙ্গা ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৫৮ জন, কোলা বাজার স্কুল হতে ২৩৮ জন, চাপরাইল স্কুল হতে ১৫১ জন, সম্মিলনী ঘোষনগর স্কুল হতে ৩৩ জন এবং কালুখালী স্কুল হতে ১০৬ জন। সব মিলিয়ে এ কেন্দ্রে ৭ স্কুল হতে ৮৮৯ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহনের কথা থাকলেও কেন্দ্র সচিবের দপ্তর থকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে পাঠারো তালিকায় দেখানো হয়েছে ৭০০ জন।