প্রথমবার মনোনয়ন পেলেন যারা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। রোববার থেকে মনোনীতদের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে দলটি। এবার মনোনয়ন দৌড়ে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। আবার প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন অনেক নতুন মুখ।
নতুনদের মধ্যে রয়েছেন- মাগুরা-১ আসনে প্রধানমন্ত্রীর এ পি এস সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা-১৩ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কক্সবাজার-৪ আসনে আব্দুর রহমান বদির পরিবর্তে তার স্ত্রী শাহীন আক্তার মনোনয়ন পেয়েছেন।
নড়াইল-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান নওফেল, সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পরিবর্তে তার ছোট ভাই এ কে এম আবুল মোমেন প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
নেত্রকোনা-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আসরাফ আলী খান খসরু, বাগেরহাট-২ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চাচাত ভাই শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে শেখ তন্ময়, পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ভাগনে এ এস এম শাহজাদা।
মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন আ ফ ম বাহার উদ্দিন নাছিম। খুলনা-২ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চাচাত ভাই শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৬ থেকে বাদ পড়েছেন শেখ মোহাম্মদ নুরুল হক, মনোনয়ন পেয়েছেন আক্তারুজ্জামান বাবু।
শরীয়তপুর-১ আসনে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এই আসনে মননোয়ন পেয়েছেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। শরীয়তপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, আসনটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে আমানুর রহমান রানার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন তার বাবা আতাউর রহমান খান, হবিগঞ্জ-৪ আসনে পেয়েছেন মাহবুব আলী। পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি খন্দকার আজিজুল হক আরজু। মনোনয়ন পেয়েছেন আহমেদ ফিরোজ কবীর।
কিশোরগঞ্জ-২ সোহরাব উদ্দিনের পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে। নওগাঁ-৫ আসনে আব্দুল মালেকের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের ছেলে নিজামুদ্দিন জলিল জন।
ফরিদপুর-১ আসনে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সচিব মঞ্জুর হোসেন বুলবুল। টাঙ্গাইল-৬ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আহসানুল ইসলাম টিটু। আহসানুল ইসলাম টিটু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে। এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন আব্দুল বাতেন।
সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পরিবর্তে তার ছোট ভাই এ কে এম আবুল মোমেন মনোনয়ন পেয়েছেন। কুষ্টিয়া-৪ আব্দুর রউফের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সেলিম আলতাফ জর্জ। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজ। এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন গাজী আমজাদ হোসেন মিলন। যশোর-২ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, আগে ছিলেন মিজানুর রহমান।
ঢাকা-১ আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান খাঁ। তিনি জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সালমান এফ রহমানকে।
পটুয়াখালী-৪ মাহবুবুর রহমানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিবুর রহমান মুহিব। কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সেলিমা আহমেদ মেরী। আসনটি এর আগে জাতীয় পার্টির দখলে ছিল।
নেত্রকোণা-৩ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল। আগে সংসদ সদস্য ছিলেন ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। নেত্রকোণা-১ আসনে ছবি বিশ্বাসের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন মানু মজুমদার।
ঢাকা-২০ আসনে এম কে মালেকের স্থানে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি বেনজির আহমেদ। গাজীপুর-৩ আসনে বর্তমান রাহমত আলির জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ইকবাল হোসেন সবুজ। কুমিল্লা-৫ আসনে পেয়েছেন আবদুল মতিন খসরু।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন ফয়জুর রহমান, তার জায়গায় এবার মনোনয়ন পেয়েছেন এবাদুল করীম বুলবুলকে।কক্সবাজার-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাফর আলম। আর আগে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াস এ আসনটির সংসদ সদস্য ছিলেন।