আইইডিসিআরের তথ্যমতে ঝিনাইদহ-সহ যে ৪৩টি জেলায় এখনো করোনা রোগী ধরা পড়েনি
ঝিনাইদহের চোখঃ
গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে উদ্বেগজনক হারে। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩০ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ২১ জন। মৃত্যুর হার ৬.৩৬ শতাংশ। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এই হার ৪ শতাংশ। মারা যাবার হারের দিক থেকে ইতালির (৯ শতাংশ) পরেই বাংলাদেশের স্থান।দেশের ২১টি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ আইইডিসিআর।
শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশই ঢাকা জেলার (২০৯ জন)। এরমধ্যে ঢাকা সিটিতেই করোনা রোগী ধরা পড়েছে ১৯৬ জন। এর বাইরে জেলার অন্যান্য জায়গায় ১৩ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে করোনা শনাক্তের জেলাভিত্তিক জেলাভিত্তিক আপডেট তথ্যে দেখা গেছে, ঢাকার পরই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জে। এরিমধ্যে লকডাউন করে দেয়া জেলাটিতে ৫৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া মাদারীপুরে ১১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরে আর কোনো জেলাতেই শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছেনি।
আইইডিসিআরের দেয়া তথ্যমতে দেশের ৪৩টি জেলায় এখনো কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হননি। তবে আইইডিসিআরের জেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশের পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুই করোনা রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। সে হিসেবে ৪২টি জেলায় এখনো কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
জেলাগুলো হল- ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, যশোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালির মত দেশে প্রথম ৩০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বাংলাদেশে এ সংখ্যা বেশি।
করোনা শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশ থেকে প্রায় ৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে এই টেস্ট হচ্ছে ১৬টি ল্যাবে। প্রথম ২০ দিনে সারাদেশে মাত্র একটি ল্যাবেই করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হতো।