টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রায় ১২ লাখ টাকা বাজেটে ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প’ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কাজে নতুন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বদলে পুরোনো ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে খালের পুরোনো কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণে এ অনিয়ম হয়েছে। জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অনুন্নয়ন বাজেটের আওতায় কুষ্টিয়ার পওর বিভাগীধীন কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় কুষ্টিয়ার ন্যাচারাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার প্রাক্কালিন ব্যয় ধরা হয়েছে ১১,৯৭,৯৮৫ টাকা। তবে কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
কাজ নি¤œমানের হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভাল করে কাজ করার তাগিদ দেন। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঠিকাদার এ কাজ চালাচ্ছেন। স্
থানীয় গ্রামবাসী আঃ জলিল, কোরবান আলী, রুপালী খাতুন, লাকী খাতুন ও হজরত আলী সহ কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, কাজের প্রথম থেকেই অনিয়ম করে আসছে। কালভার্ট কলারে রডের বদলে নিম্নমানের ইট, পাথরের বদৌলতে খোয়া, ঢালায়ের থিকনেস ইঞ্চি কম, ১৬ মিলি রডের জায়গায় ১০ মিলি রড ব্যবহার ও লাল বালির জায়গায় স্থানীয় ধুলা বালি ব্যবহার করেছে ঠিকাদার। এসব অনিয়ম বন্ধে নিষেধ করলেও ঠিকাদার কানে তোলেনি বলেও জানান তারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কালভার্ট দুটির প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো কালভাটের ভাঙা নির্মাণসামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে পুরোনো ইট, বালু ও সুরকি। কাজের অনিয়ম ঢাকতে ও জনগণের চোখকে আড়াল করতে সাইনবোর্ডটিও উঠিয়ে রাখা হয়েছে পাশের এক বাড়িতে। যা দেখে বোঝা যায় কত বড় অনিয়ম এই কাজে। এমন সব কর্মকান্ডে ঠিকাদারের বিরদ্ধে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এহসানুল হক মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কালভার্ট নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা (এসও) লাল্টু হোসেন বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। যা জানার আমার উপর মহলে যারা দায়িত্বে আছে অফিসে এসে তাদের সাথে কথা বলেন।