ভোগান্তি ছাড়াই চলছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভুমি অফিসে ই-নামজারি সেবা
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ভূমি ব্যবস্থাপনায় মিউটেশন বা নামজারী একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। জমি কিনলে বা অন্য কোনো উপায়ে জমির মালিক হয়ে থাকলে হালনাগাদ রেকর্ড সংশোধন করে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করাকে নামজারি বলা হয়। বর্তমানে অনলাইনেও নামজারি করা যায়।
এটিকে বলা হচ্ছে ই-নামজারি। অর্থাৎ পুরানো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করাকে নামজারী/নাম খারিজ বলে। ভূমি মালিকানার রেকর্ড বা খতিয়ান বা স্বত্বলিপি হালকরণের জন্য জরিপ কার্যক্রম চুড়ান্ত করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। যে সময়ের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে, এওয়াজ সূত্রে বিক্রয়, দান, খাস জমি বন্দোবস্ত ইত্যাদি ভূমি মালিকানার পরিবর্তন প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ভূমি মালিকানার রেকর্ড হালকরণের সুবিধার্থে কালেক্টরকে (জেলা প্রশাসক) ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা বলে জমা, খারিজ ও নামজারী এবং জমা একত্রিকরণের মাধ্যমে রেকর্ড হাল নাগাদ সংরক্ষণ করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভুমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) খান মোঃ আবদুল্লা আল মামুন তার নিজের অফিস কক্ষ ছেড়ে চেয়ার টেবিল নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মেইন ফটকে ফাঁকা জায়গায় বসে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছেন। ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিনিয়তই তিনি এসকল কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার স্যার এর নির্দেশনায় ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ স্যারের সার্বিক তত্ত¡াবধানে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি মুক্ত করতেই এ ধরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু গ্রাহক অফিস কক্ষে যেয়ে সরাসরি কথা বলতে ভিতি ও সংকোচ বোধ করেন, যার ফলে কিছু দালাল চক্র সুযোগ গ্রহন করে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। গ্রাহকদের এসমস্ত ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এবং করোনা কালীন সময়ে জনসমাগম এড়াতেই তার এই পন্থা অবলম্বনের মুল উদ্দ্যেশ্য বলেও তিনি জানান।
ই-নামজারি সেবা নিতে আসা পদ্মাকর ইউনিয়নের সবুর হোসেন বলেন, এতে জনগণ যেমনটি দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে, তেমনি যথাযথ সময়ের মধ্যে তার কাজ সম্পন্ন করে ঘরে ফিরতে পারছে। আসমা খাতুন নামের অপর এক সেবা গ্রহীতা বলেন, এ ধরণের মহতী উদ্যোগ যদি সকল সরকারি অফিসে থাকতো তাহলে কোন মানুষই ভোগন্তির স্বীকার হত না।