বিএনপি থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের পদত্যাগ
কণ্ঠশিল্পী মনির খান রাজনীতির মাঠেও মানুষের ভালোবাসা পেতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করতে চেয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এলাকায় চালিয়েছেন বিএনপির দলীয় কার্যক্রম, গণসংযোগ। কিন্তু এমপি নির্বাচনে অংশ নেয়া তার হলো না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পাননি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কন্ঠশিল্পী মনির খান।
মনোনয়ন না পাওয়া ও দলীয় বিশৃঙ্খলাসহ নানা কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মনির খান।
জানা গেছে, জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় নির্বাচন থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন মতিয়ার রহমান, যিনি ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি।
জানা গেছে, মূলত এই আসনটিতে জামায়াতের ভোট বেশি হওয়ায় বিএনপির কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতকে ছাড় দেওয়া ২৫টি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি রয়েছে। এ কারণে প্রার্থী হতে পারছেন না কন্ঠশিল্পী মনির খান।
বিগত ৫টি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এবার তার ব্যতিক্রম হল। এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাষ্টার মারা যাওয়ার পর জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতকে ছাড় দেওয়া ২৫টি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি রয়েছে। এ কারণে প্রার্থী হতে পারছেন না কন্ঠশিল্পী মনির খান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঝিনাইদহের ৪টি আসনের মধ্যে বিএনপির ৩ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ঝিনাইদহ-৩ আসনটিতে বিএনপির কাউকে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি থেকে কন্ঠশিল্পী মনির খান, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মেহেদী হাসান রুমি ও জামায়াতের মতিয়ার রহমানকে প্রাথমিক মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়।
কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচটি, মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৩ (জাতীয় সংসদের ৮৩) আসন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৫৮ জন।