শিক্ষকদের জন্য আসছে নতুন নির্দেশনা
ঝিনাইদহের চোখ-
২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের করা সব অ্যাসাইনমেন্ট সংরক্ষণে রাখতে হবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীর বিগত বছরের ঘাটতি পূরণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেবে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দূর করতে আমরা দুই ভাবে কাজ করছি। একটি হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সব অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে। সংগ্রহ করা অ্যাসাইনমেন্টগুলো দেখে শিক্ষার্থীদের কোথায় কতটুকু দুর্বলতা বা গ্যাপ রয়েছে, তা নির্ণয় করে পরের বছর ঘাটতিগুলো পূরণ করবে। শিক্ষকরা নিজেরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করবে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমরা জাতীয় পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্ট এনে আমাদের দেশের শিক্ষা গত এক বছরে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা দেখার চেষ্টা করবো। জাতীয় পর্যায়ের এই অ্যাসেসমেন্ট আমাদের পলিসি তৈরিতে কাজ করবে।’
এক বিদ্যালয়ের সঙ্গে আরেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা বা গ্যাপ একরকম হবে না। আলাদা হবে। তাই জাতীয় পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্টগুলো এনে মূল্যায়ন করা হবে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপর অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারেও পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। এছাড়া শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রাখেন।
কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ বন্ধ থাকায় গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ১ নভেম্বর থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এনসিটিবির নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া এবং সংগ্রহ করা হয় স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিখন ফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকল আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমন্বয় করার কথা বলা হয়।