ঝিনাইদহে মাত্র এক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড একটি গ্রাম
ঝিনাইদহের চোখ-
মাত্র এক মিনেটের কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ঝিনাইদহের একটি গ্রাম তছনছ হয়ে গেছে। সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখ গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রলয়ংকারী এ ঝড় আঘাতহানে। হঠাৎ কালবৈশাখীর এ তান্ডবে জীবণ বাঁচাতে মানুষ দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এসময় প্রায় একশো পরিবারের ঘর উড়ে যায়। সেই সাথে উপড়ে যায় বড়-ছোট শতশত গাছপালা। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি এসময়।
ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখ গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা বেগম। পরের জমিতে থাকেন। কালবৈশাখীর তান্ডবের বিবরন দিতে গিয়ে জানান, পুরো টিনের ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে যায় মাত্র ৪০-৫০সেকেন্ডর মধ্যে। আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। আমার স্বামী পরের জমিতে কামলা খাটে। দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। বেচে আছি এই আশ্চর্য।
পরের জমিতে কামলা খাটা সোলাইমান হোসেনের সাজানো সংসারের আজ কিছুই নেই। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলো। কিছু বোঝার আগেই প্রায় ১মিনিটের মধ্যে গাছপালা উপড়ে গেল। বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে। আমার সবকিছু এখন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে।
গ্রামবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। প্রথমে হঠাৎ বাতাস শুরু হয়ে পরে কালবৈশাখীতে রুপ নেয়। সেই সাথে চলতে থাকে বৃষ্টি । এখন গ্রামটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত। এখনও ঘরের টিনের চালাগুলো বিশালবিশাল গাছের মাথায় দুমড়ে-মুচড়ে ঝুলে রয়েছে। বড়-বড় গাছ গুলো উপড়ে গেছে। এ গ্রামের বেশীরভাগ মানুষই পরের জমিতে কামলা কাজ করে। এখন তারা নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন। যাদের মাটির ঘর বা টিনের ঘর ছিল তাদের আর কিছুই নেই। এখন সরকারি সাহায্য পেলেই কেবল আমরা আবার নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে তারা।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, হালকা বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত হয়। শুরু হয় ঝড়। মাত্র ৪০সেঃ সেকেন্ড স্থায়ী এ ঝড়ে আড়মুখী গ্রামের কুটিপাড়া থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্তÍ প্রায় ১শত মিটারের মত ব্যাস ধারন করে ২ কিলোমিটার লম্বা স্থান ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে যায় শতশত গাছপালা।
কালীগঞ্জ সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার সরেজমিনে প্রদক্ষিণ শেষে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ কার হয়েছে। পুর্নবাসনের জন্য যাযা লাগবে জেলা-উপজেলা প্রশসানের মাধ্যমে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার বিত্তবানদের তিনি এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন।