বাংলাদেশের কৃতি সন্তান ঝিনাইদহের খোরশেদ আলম বয়াতি’র ইন্তেকাল
ঝিনাইদহের চোখ-
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় লোক সঙ্গীত শিল্পী খোরশেদ আলম বয়াতি মারা গেছেন।
সোমবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বেলা দুইটার দিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
সোমবার বিকালে শেষ ইচ্ছানুযায়ী হরিণাকুন্ডু উপজেলার যাদবপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
ছেলে সোহরাব আলম জানান, তার বাবা এর আগে দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অর্থের অভাব থাকায় তারা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি।
খোরশেদ আলম বয়াতি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এপার বাংলা ও ওপার বাংলায় পালা গানের জননন্দিত শিল্পী ছিলেন। বাংলাদেশের প্রখ্যাত লোক সঙ্গীত শিল্পী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ অসংখ্য পালাগানের শিল্পীর ওস্তাদ ছিলেন খোরশেদ বয়াতি।
লোক সঙ্গীতে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী খোরশেদ বয়াতিকে বিশেষ পদকে ভূষিত করেন।
প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি একরামুল হক লিকু, বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, জাহিদুল ইসলাম।
শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য অশোক ধর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শান্ত জোয়ারদার, নাজিম উদ্দীন জুলিয়াস, রাজু আহম্মেদ মিজান, শাহিনুর আলম লিটন, বাবুল আক্তার লাল্টু, গণ শিল্পী আব্দুস সালাম, উদীচীর দিলিপ ঘোষ, সঙ্গীত শিল্পী জাকির হাসান রুমি, অজয় দাস, রুবেল পারভেজ, তারেক হাসান পল্লব ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্য প্রশিক্ষক শামিম আহম্মেদসহ নাট্যকার, সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকাররা শোক প্রকাশ করেছেন।