এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা প্রেসক্লাবে বুধবার বড় ভাই কল্লোল খন্দকার হত্যার বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছোট ভাই মিল্টন খন্দকার।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৮ জানুয়ারী মাঠে পেঁয়াজ লাগানোর সময় প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে তার বড়ভাই কল্লোল কে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর ছোট ভাই মিল্টন খন্দকার বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা দায়েরের পর পরই বিবাদী বগুড়া গ্রামের শওকত বিশ্বাস, নাসির বিশ্বাস, রেজাউল মোল্লা,ফরিদ মুন্সি, ফরিদ মোল্লা, গেন্দা মোল্লা, নায়েব মোল্লা, বাবুল কাজী, করিম কাজী, মিন্টু মোল্লা সহ আরও আনুমানিক ৪০-৫০ জন বিএনপি দলীয় লোকজন গত ১২ জানুয়ারী বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় বেআইনিভাবে তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ, মামলা তুলে নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন তার ও পরিবারের লোকজনের উপরে হামলা, লুটপাট, বাড়ি-ঘর ভাংচুর করার অব্যহত হুমকি দিয়ে আসছে মামলার বিবাদীগন।
এব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন আসামি আটক করা হচ্ছে না।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আসামীরা গ্রেফতার হচ্ছে না উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের অভিযোগ মামলায় হুকুমের আসামী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে তার লোকজন ও খুনীরা এমন হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে মামলার আইও এসআই তৌফিকুল ইসলাম জানান, ২ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে এবং আসামী ধরতে অভিযান চলমান আছে।
