অন্যান্য

নিউইয়র্ক পুলিশের প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি নারী সার্জেন্ট ফজিলাতুন নিসা!

ঝিনাইদহের চোখঃ ফজিলাতুন নিসা। ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে কুমিল্লার এই মেয়ে ডিভি (ডাইভারসিটি ভিসা) লটারির সুযোগ পেয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্ক শহরের অচেনা অলিতে-গলিতে প্রথমে কাজ জোটে একটি সুপার মার্কেটে।

২০০৫ সালে পরিবারের সংকটময় সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিলেও সুপারশপের কাজে নিজেকে বেধে রাখতে চাননি তিনি। স্বপ্নটা বড় থাকায় দূর পরবাসে গিয়ে পড়াশোনাটা চালিয়ে যাওয়া ছিল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তাই ভর্তি হন স্থানীয় এক কলেজে।

আর কলেজে পড়ার সময়ই জানতে পারেন, অভিবাসী হয়েও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কাজ করা যায়। শুরু হলো স্বপ্নের প্রতীক্ষা। ২০১২ সালে সে সুযোগ পেয়ে এ মুহূর্ত দেরি করেননি ফজিলাতুন নিসা। যোগ দেন এনওয়াইপিডিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এ ধরনের নতুন পেশায় যোগ দেওয়ার গল্পটা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাসলিমা আখতার নামের আরেক বাংলাদেশি নারী নিউইয়র্কের ইউনিফর্ম পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে বাংলাদেশি অভিবাসী কোনো নারী চ্যালেঞ্জিং এ কাজে যোগ দেননি। আমরাই ছিলাম পুলিশে প্রথম বাংলাদেশি নারী।’

পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার পর দুই বছর প্যাট্রোল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফজিলাতুন নিসা। তিন ভাষায় দক্ষতা থাকার সুবাদে বিশেষ সুযোগ পান পুলিশ বিভাগে। ফজিলাতুন নিসাকে যুক্ত করা হয় এনওয়াইপিডির কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে।

২০১৭ সালে পদোন্নতি পান সার্জেন্ট পদে। সেই থেকে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি নারী সার্জেন্ট হলেন ফজিলাতুন নিসা। বাংলাদেশের গর্বিত এই নারী যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় নিজের অবস্থান তৈরি করাটাকে একটা চ্যালেঞ্জ মনে করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button