ঝিনাইদহের চোখ-
অবশেষে শৈলকুপায় ইউরিয়া সার কালোবাজারী,মজুদ ও বেশী দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন । ৩ব্যবসায়ী কে ৪০হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । অভিযান অব্যহত থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।
আজ সন্ধায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার কাতলাগাড়ী বাজারে এই অভিযান চালানো হয় । সারুটিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজাদ কে ১০হাজার টাকা, আবতাব কে ১০হাজার টাকা, সাব ডিলার শোভন কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সার ব্যবস্থাপনা আইন ও ভোক্তা অধিকারে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া তাদের কে সতর্ক করা হয় ।
জানাযায়, মূলত বিসিআইসি’র সার ডিলারের নীতিমালা ভঙ্গকারী শহরে অবস্থানকারী ৪ডিলারের কারসাজীতেই শৈলকুপা জুড়ে মারাত্মক সার সংকট শুরু হয়, বেড়ে যায় মূল্য, করা হয় মজুদ । একই সাথে রয়েছে সাব-ডিলারদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বা গ্রামে গ্রামে না থাকা । অধিকাংশ সাব-ডিলারই কোন না কোন বড় বাজারে এসে দোকান দিয়ে বসেছে সার-কীটনাশকের। সার নিয়ে তাদের সিন্ডিকেটও সারের বাজার কে অস্থিতিশীল ও কৃষক হয়রানীর অন্যতম কারণ ।
কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর মাহফুজুর রহমান অভিযান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যারা বাড়তি দামে ইউরিয়া সহ অন্যান্য সার বিক্রি করছে, সার মজুদদারী করছে, বিসিআইসির নীতিমালা ভঙ্গ করছে এমন ডিলার সহ সার কালোবাজারির কোন খবর পেলেই অভিযান চলবে এবং সার ব্যবস্থাপনা আইনে সাজা দেয়া হবে । শৈলকুপায় সার সংকট হবে না বলে কৃষকদের আশ্বস্ত করছেন। কোন দোকান, ডিলার-সাব ডিলারদের কাছ থেকে সার-কীটনাশক কেনার সময় ভাউচার বা ক্রয়রশিদ না দেয়া হলে কৃষি অফিসে অভিযোগ জানাতে বলছেন কৃষকদের ।
এদিকে শৈলকুপায় ৭নং হাকিমপুরের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার নূরুল আলম মোল্লা, ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের সার ডিলার গোলাম নবী, ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নিধির সাহা ও ১২ নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের জবলুল হোসেন বাদশা কে আগামী ৭দিনের মধ্যে স্ব স্ব ইউনিয়নে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন । এসব ব্যবসায়ীরা বিসিআইসি ডিলার হওয়ার শর্তভঙ্গ করে ২০০৯ সাল থেকে শৈলকুপা শহরে সারের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন ।
শৈলকুপার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিনের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্ম কর্তা আবুল হাসনাত, এসএপিপিও প্রদ্যুৎ কুমার গুহ সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন ।