ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
আব্দুল্লাহ আল মামুন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রী প্রদানের দাবিতে আবারো সড়ক অবরোধ করে ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেরিনারি কলেজে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কলেজের সামনে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহা-সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এতে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহা-সড়কে সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারন যাত্রীদের।
জনদুর্ভোগের খবরে দুপুর ২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রথীন্দ্র নাথ রায়, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এস এম শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
ভেটেরিনারী কলেজলে ছাত্র সংসদের জিএস সজীব হাসান বলেন, আমরা বারবার ডিভিএম ডিগ্রীর দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও কোন ফলাফল পাচ্ছি না। আমরা বুঝতে পেরেছি কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে। একারনে আজ আবারো আমরা রাস্তায় নেমেছি।
তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের এই আন্দোলনের সাথে একমত পোষন করেছেন। এবং তিনি আশ্বস্থ করেছেন, আমাদের সাথে মন্ত্রালয়ে যাবেন এবং আমাদের দাবিদাবার ব্যাপারে মন্ত্রালয়, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলে একটা সমাধান করবেন। যার কারনে আমাদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ডিভিএম ডিগ্রী দেওয়ার কথা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিএসসি ভেট সাইন্স এন্ড এএইচএস ডিগ্রী জায়গা থেকে একটুও সরে আসেনি। তাতে শিক্ষার্থীদের আগামীতে চাকুরির ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মূখীন হতে হবে।
ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা: আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আমার ইচ্ছায় এখনো কিছুই হয়না। আমরা এখানে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ের অধিনস্থ। শিক্ষার্থীরা ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রীর দাবিতে দীর্ঘ ৯৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। যা তাদের যৌতিক দাবি। আজও তারা একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি), ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এসেছিলেন। তারা আবারো শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
তিনি আরো বলেন, কলেজে খুবই খারাপ অবস্থা। শিক্ষার্থীদের ঠিকমত ক্লাস হয় না। তাদের শিক্ষক সংকট। যেখানে শিক্ষক থাকার কথা ১০০জন সেখানে রয়েছে মাত্র ২জন। প্রাণীসম্পাদ অধিদপ্তরের ১৩জন কর্মকর্তাদের দিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই খারাপ খবর। এদের দাবির খুব শিঘ্রই একটা সুরাহ হওয়া উচিৎ।