সেচ পাম্প চালু করায় ঝিনাইদহে কৃষকের মুখে হাসি
ঝিনাইদহের চোখঃ
সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় কৃষকেরা ফসল নিয়ে বিপাকে এই শিরোনামে সময় সংবাদে খবর প্রচারের পর জিকে কর্তৃপক্ষ শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে সেচের পানি দেয়া শুরু করেছে। পানি পেয়ে দারুণ খুশি প্রকল্প আওতাধীন এলাকার কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের নিরবচ্ছিন্ন সেচ পানি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পাম্প কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার ১৩ উপজেলায় গঙ্গা- কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প শুষ্ক মৌসুমে পানি না দেয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন কৃষকেরা। তবে বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ ১শ ৯৩ কিলোমিটার মেইন ক্যানেল, ৪শ ৬৭ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ক্যানেল, ৯শ ৯৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি ক্যানেলের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু করেছে। এতে শুষ্ক মৌসুমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষক সরাসরি সেচ সুবিধা পাবেন। ফলে চলতি বোরো মৌসুমের ২৪ হাজার ৯’শ ৭০ হেক্টর জমিতে কৃষক এবার ফসল চাষ করতে পারবেন। তবে নিরবচ্ছিন্ন সেচের পানি দাবি করেন কৃষকেরা ।
কৃষকরা বলেন, ‘মেশিনের পানিতে আমরা ভুট্টা, পেঁয়াজে পানি দিতে পারছি, আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। আগে আমরা পানি তুলতে পারতাম না, অনেক টাকা খরচ পড়তো এখন টাকা অনেক কম খরচ হবে।’
চলতি বোরো মৌসুমে এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়ার কথা জানান পাম্প ইনচার্জ। গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প পাম্পের ইনচার্জ প্রকৌশলী সফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা পাম্প চালু করতে পেরেছি এবং এই পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বোরো মৌসুমে সব এলাকায় পানি সরবরাহ করতে পারবো।’
জিকে কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, বোরো মৌসুমে সেচ প্রকল্প এলাকায় ২ হাজার ১শ ৮৫টি হাইড্রলিক গেটের মাধ্যমে কৃষকদের সেচের পানি দেয়া হবে।