মোঃ হাবিব ওসমান
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ-যশোর মহা সড়কে বাস ট্রাক ও পরিবহণে গণডাকাতি হয়েছে। এসময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১২জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, রাজশাহীর তানর উপজেলার ভদ্রখন্দ গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে আলু ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন এবং রাজশাহীর বোয়ালীয়া উপজেলার হেতেমখান গ্রামের মৃত. মকছেদ আলীর ছেলে ড্রাইভার আঞ্জুরা। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে আহতরা মুখ খোলেনি। আর কালীগঞ্জ থানার ওসি বলেছেন ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করেছে।
আহতরা জানিয়েছে, আজ রবিবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ- যশোর মহাসড়কের উপজেলার রঘুনাথপুর নামক স্থানে ডাকাতরা গাছের গুড়ি ফেলে কয়েকটি পরিবহণ ও ট্রাক গতিরোধ করে। এসময় যাত্রীদের মারপিট করে সর্বস্ব লুট করেছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সর্বোনি¤œ ১২জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিলেও দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তারা সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।
আহত অন্যান্যরা হলো, আনিসুর রহমান, রবিউল রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ রনি, রওশন আরা ও জেসমিন। এদের মধ্যে কয়েকজন কে লাইন পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী।
সব মিলিয়ে ১৩-১৪টি গাড়িতে ডাকাতি করা হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে তারা মুখ খোলেনি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. ইউনূস আলী জানান, রঘুনাথপুরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। ফলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতে পারেনি। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কমবেশি ১২জন আহত কি কারণে তারও কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায়।
