ঝিনাইদহ সদরটপ লিড
ঝিনাইদহে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ সচেতনতা বেড়েছে
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ ও হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো যাবে না। ধারাবাহিকভাবে চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার ও জনসচেতনতা মূলক বিভিন্ন কর্মসূচি।
আর এরই মধ্যে বদলাতে শুরু করেছে ঝিনাইদহের পথঘাটের কিছু চিত্র। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশ’ই এখন হেলমেট ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন।
সহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বেশীরভাগ মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। আবার হেলমেট ছাড়া দিব্যি বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন, এমনও অনেককে দেখা গেছে।
হেলমেট ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিমুল হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, প্রথম দিকে হেলমেট ব্যবহার করতাম না। হেলমেট বিহীন গাড়ি চালানোর সময়
ট্রাফিক সার্জেন্ট আমাকে থামিয়ে একটি হেলমেট উপহারদেন ও হেলমেট না থাকাই একটি মামলাও দেন। তখন থেকেই হেলমেট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। আমার তো মনে হয়, বর্তমানে হেলমেটের প্রতি যেন প্রেম জমেছে।
সম্প্রতি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবাই যখন এত চেষ্টা করছে, তাই নিজে থেকেই সচেতন হতে শুরু করেছি।
তাছাড়া আরেকটি বিষয়, ট্রাফিক পুলিশরাও আগের চেয়ে অনেক একটিভ হয়েছে এখন। আগে ফাঁক ফোঁকর দিয়ে মামলা থেকে বাঁচবার উপায় ছিল।
কিন্তু এখন কোন কথা চলে না তাদের সঙ্গে। ভয়ে হোক আর ইচ্ছে করে হোক, আপনাকে মানতেই হবে মানুষ এখন পুরোদমে সচেতন হয়েছে।
মামলার ভয়ে মানুষ হেলমেট ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, মো: হাসানুজ্জামান প্রতিবেদক কে বলেনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সড়ক দর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যপক কর্মসুচী হাতে নিয়েছে । সেখান থেকেই আমাদের কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নিরাপদ সড়কের জন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে।
এতে করে সরকারের পক্ষথেকে পুলিশের মাধ্যেমে হেলমেট ও ফুল দিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করছি।
এরই মধ্যে আমরা যে হেলমেট বিতরণ করছি তার সুফলও পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আইন প্রয়োগকারী দের আগে সচেতন হতে হবে। সেজন্য আমি আমার পুলিশ কে নির্দেশ দিয়েছি। হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির সকল কাগজ পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। যারা আইন প্রয়োগ করবে তারা যাতে আইন মানে এ বিষয়েও আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।