ধূমপান ছাড়াও যে কারণে হতে পারে ক্যান্সার
আধুনিক জীবনযাত্রা ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের চার পাশে নানা রকম অসুখের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে সারা পৃথিবীতেই ক্যান্সার আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
মূলত ধূমপায়ীদেরই ফুসফুসে ক্যান্সার হয় বলে ধারণা রয়েছে আমাদের। কারো ফুসফুসে ক্যান্সার হলেই আমরা ধরে নেই, তিনি ধূমপায়ী ছিলেন। কিন্তু ধূমপান না করলেও ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার বড় ঝুঁকি থেকেই যায়।
পরোক্ষ ধূমপানঃ নিজে ধূমপান না করলেও তামাকের ধোঁয়ার চারপাশেই যদি থাকেন তবে আপনার ফুসফুসে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে।
বংশগত কারণঃ পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে সচেতন হন। বয়স পঞ্চাশ পেরলে নিয়ম করে চেক আপ করান। বংশগত কারণে কোনো দিন ধূমপান করেননি এমন মানুষও আক্রান্ত হতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারে।
দূষণঃ পরিবেশ দূষণের কারণে ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকারক মৌল যেমন অ্যাসবেসটস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক এই ধরণের অসুখের জন্য দায়ী।
এ ছাড়া ধোঁয়ার কার্বন মনো অক্সাইড, ওজোন গ্যাস, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদিও শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্যান্সার ডেকে আনে।
পেশাগত কারণঃ রাসায়নিক গ্যাস মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়। ট্যানারির কিছু বিশেষ বিভাগের কাজ, আকরিক যেমন লোহা জাতীয় খনিতে কাজ, ইটভাটা, ড্রাইভিং, কারখানায় কাজ বা দীর্ঘ সময় চুলার ধোঁয়ার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করেন এমন মানুষদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এমন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, চেক আপ করান ও মাস্ক ব্যবহার করুন।