ঝিনাইদহ সদরটপ লিড
ঝিনাইদহে অনিয়মই যেখানে নিয়ম
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখ
‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ এই শিরোনামে সড়কের দূর্ঘটনা প্রতিরোধে একাধিক প্রকল্প গ্রহন করেছে সরকার। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। অথচ সেই প্রশাসনের লোকজন থেকে শুরু করে খোদ পুলিশ সদস্যরাই অমান্য করছেন ট্রাফিক আইন।
ঝিনাইদহ শহরের মধ্যদিয়ে পোষাক পরিহিত অবস্থায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন একাধিক পুলিশ।
২৪শে অক্টোবর সরেজমিনে ঝিনাইদহ শহরের একাধিক স্থানে দেখা যায়, বাইকযোগে হেলমেট ছাড়াই সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন পুলিশ সদস্যরা। এক্ষেত্রে নিশ্চুপ যেন ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ।
এই ব্যাপারে নাজমুল হোসেন নামের একজন পথচারী ঝিনাইদহের চোখের প্রতিবেদক’কে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে যখন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার জনসাধারণের মধ্যে হেলমেট পরিধানের জন্য সচেতন করছেন, বিণামূল্যে হেলমেট বিতরণ করছেন সেখানে পুলিশই হেলমেট পরিধান করছেন না!
এই ঘটনায় ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক কৃষ্ণপদ সরকার এর সাথে দেখা করে অভিযোগ জানানো হলে তিনি ঝিনাইদহের চোখ কে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্য চালক থেকে শুরু করে আরোহনকারী হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে চলাচল করেন না। হেলমেট ছাড়া অন্য কোন পুলিশ সদস্য যখন চলাচল করছেন সেখানে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ সুপারের অনুমতি সাপেক্ষে ট্রাফিক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করা হবে।
শুধু পুলিশ সদস্যরাই নয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যেও হেলমেট ছাড়া বাইক চালনার প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যায়, এমন ঘটনায় সাপ্তাহিক ঝিনুক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো: সাদিদুল ইসলাম জানান, এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের আরও উদ্যোগী ও সচেতন হতে হবে। না হলে এই পেশাগত পরিচয় প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, মো: হাসানুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে গযোগাযোগ করা হলে ঝিনাইদহের চোখ কে তিনি বলেন, শুধু হেলমেট পরিধান নয়, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সকল পুলিশ সদস্যকেই যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি জানান,আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেউ যদি ট্রাফিক আইন অমান্য করেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।