খাঁটি সোনা চেনার ঘরোয়া উপায়
খাঁটি সোনা চেনা আসলে একটি কঠিন ব্যাপার। কারণ আমাদের শপিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থাকলেও সচারচার সোনা কিনতে গেলেও একুট হিসেব কষতে হয়। কারণ সোনার দাম অনেকের কেনার সাধ্যের বাইরে।
যা কিছুই হোক না কেন খাঁটি সোনা চেনা তো দরকার। বিয়ে, জন্মদিন ও প্রিয়জনের জন্য সোনার যেকোনো উপহার হতে পারে অবাক করার বিষয়।অনেকে খরচ বাঁচাতে গিয়ে স্বর্ণকারদের ফাঁদে পড়ে নকল সোনা কিনে ফেলেন।
আসুন জেনে নেই খাঁটি সোনা চেনার কিছু সহজ উপায়।
২৪ ক্যারেটের
আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। কারণ সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরি করা সম্ভব হয় না। গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে।
সোনায় লোহা মেশানো
সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। সোনায় লোহা মোশানো আছে কি না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।
রাসায়নিক ও এসিড
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং এসিড আছে যেগুলো ব্যবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা এসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনো রকম বিক্রিয়া হয় না।
সাদা চিনেমাটির প্লেট
সাদা চিনেমাটির একটা প্লেটের সাহায্যে আপনি সোনা যাচাই করতে পারেন। সোনার গয়না চিনেমাটির প্লেটে ঘষে দেখুন। যদি থালার ওপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল। আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।
দুই গ্লাস পানি
একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দুই গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
কামড়
হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয় তা হলে সোনার ওপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে।
ঘাম
ঘামের সংস্পর্শে এলেও আসল সোনাতে কখনো ঘামের গন্ধ ধরে না। যদি ঘামের গন্ধ ধরে তা হলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি সোনা নয়।