যৌথ পরিবারে মানিয়ে চলবেন যেভাবে
বিয়ে মানে শুধু দুটি মানুষের বন্ধন নয়, বিয়ে মানে দুটি পরিবারেরও বন্ধন। আমাদের সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ের পরে মেয়েটি স্থায়ীভাবে বাসিন্দা হয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির। যেখানে তার আজন্ম বেড়ে ওঠা, সেই প্রিয় জায়গা ছেড়ে চলে আসতে হয় নতুন পরিবেশে। আপন করে নিতে হয় অচেনা মানুষদের। এখন অনেক নিউক্লিয়ার পরিবার দেখা গেলেও যৌথ পরিবারও একেবারে বিলুপ্ত হয়নি। আর বড় পরিবারে চলতে গিয়ে ছোটখাটো ঠুকোঠুকি বাঁধতেই পারে। কিন্তু সামলে চলতে হবে সবকিছু।
ইতিবাচক মনোভাব
শ্বশুরবাড়ির সবার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। সেখানে কেউ কেউ আপনার ছোটখাটো ভুল-ত্রুটির জন্য হালকা খোঁচা দিয়ে কথা বলবে হয়তো, এর বেশি কিছু নয়। সিনেমা-নাটক দেখে যৌথ পরিবার সম্পর্কে ভুল ধারণা পুষে রাখবেন না। বরং সবার সঙ্গে সহজভাবে মিশুন।
সবাইকে আপন ভাবুন
যৌথ পরিবারের সবার সঙ্গে সমানভাবে সখ্যতা হবে না। এই নিয়ে একদমই চিন্তিত হবেন না। মনে রাখবেন, বাড়ির সবাই আপনার আপনজন। পরিবারটাকে নিজের বলে ভাবতে শুরু করুন, দেখবেন সব ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসছে। পরিবারের সবার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন, কাজে সাহায্য করার হাত বাড়িয়ে দিন।
বড়দের সম্মান করুন
পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের সম্মান করুন। তাদের কথার বিপরীতে পাল্ট কথা বলতে যাবেন না যদি তাতে আপনার সমর্থন নাও থাকে। প্রয়োজনে আপনার স্বামীকে আলাদাভাবে বুঝিয়ে বলুন কেন আপনি সেই বিষয়টিতে সমর্থন দিচ্ছেন না। তবে কোনোকিছুই অতিরিক্ত করতে যাবেন না।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
বিয়ে মানেই নতুন কিছু দায়িত্ব। যত সহজে ও মসৃণভাবে দায়িত্বগুলো আপনি নিতে পারবেন, তত আপনার সুবিধা। সবার বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। বাড়িতে যারা আপনার চেয়ে বয়সে ছোট, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে সবাই আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।