টার্কি খামার করে স্বাবলম্বী ঝিনাইদহের বেকার বাবুল
গিয়াস উদ্দীন সেতু
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটির বোড়াই গ্রামের বেকার যুবক বাবুল রহমান বেকার জীবন নিয়ে যখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলো তখন ঠিক করে ।
নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ,কিছু একটা করে সংসারের হাল, না ধরলে ছলবে না। সন্ধান পায় টার্কি মুরগীর। শুরু করে পথ চলা ১০ টা টার্কি মুরগী দিয়ে। এন সে সাবলম্ব হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ভাবে যত দিন যাই ততই খামারে মুরগী বাড়াতে থাকে। এমন ভাবে মুলধন বেড়ে যাই ঠিক তখনি সিন্ধান্ত নেই। নতুন আর একটা জীবনের ।
কিছু দিনের মধ্যেই বিদেশ পাড়ি দেই। সেই দেশে বসে এই খামারের দিক নির্দশনা দেয় মেয়ে শারমিনের।
গত কাল এই প্রতিবেদক বোড়াই গ্রামের টার্কি মুরগী খামারে স্বচিত্র প্রতিবেদন করতে গেলে কথা হয়।বাবুল রহমানের মেয়ে শারমিন সুলতানা সাথে। শারমিন ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ড়িগ্রী কলেজের ছাত্রী । লেখা পড়ার পাশা পাশী দেশে রেখে যাওয়া বাবার খামারটি দেখা শুনা করছে । আর মেয়ের সহয়োগীতা করেন মা রিজিয়া বেগম।
রিজিয়া বেগম জানান এই মুরগী খামার করে সংসার তাদের বেশ স্বচ্ছল । এবং এতে অনেক লাভ তাই খামারটি এবার বাড়াবো । দাম বেশ ভালো,বাজারে চাহিদাও আছে। আগামিতে আরো ৩শ বাচ্চা তুলা হবে।
শারমিন জানান সে লেখা পড়ার পাশাপাশি এই খামারের সব দেখা শুনার বার তার উপর সময় মত ঔষধ,খাবার,পানি সব তাকে করতে হয় আর সহযোগীতা করেন মা। এবার তিন শ,মুরগীর ডিম বসানো হয়েছে আশা করছি সব ডিমের বাচ্ছার ছানা উঠবে।
তখন আমার বেশি সময় দিতে হবে খামারে।শ্রম বেশি দিলে বেশি লাভোবান হব। আমি মনে করি প্রত্যকটি পরিবারের মেয়েদের লেখা পড়ার পাশাপাশি যদি এমন খামার করে তা হলে সংসারের সচ্ছলতা বাড়বে এবং অনেক মন্দকাজের হাত থেকে নিজেকে রক্ষাপাওয়া যাবে।
টেলি ফোনে কথা হয় প্রবাশি বাবুল রহমানের সাথে তিনি যানান খাদ্য হিসাবে ঘাস,পাতা কপি,কচুড়ীপানা ,আর ফিড খাওয়ানো হয়। তিনি আরো বলেন যখন তিনি বেকার ছিলেন তখন খুব খরাপ লাগত ।
টার্কি মুরগী খামার তার জীবনের টারনিংপয়েন্ট বলে তিনি মনে করেন। আজ খামার করেছি বলেই বিদেশ আসতে পেরেছে।
বাবুলের ছোট ভাই লিটন জানান এই টার্কি মুরগীর গোসতো খুব সাদের এবং চাহিদা আছে বাজারে ,৫০০ টাকা কেজি বাড়ী থেকে বিত্রুয় হয়।
চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দীন জানান, তার ইউনিয়নে এই মুরগীর খামার করেছে বিদেশি প্রবাশি বাবুল শুনেছি এর চাহিদা অনেক।
তবে আমি মনে করি আমার ইউনিয়নে যারা বেকার আছে তারা সকলেই যে কোন খামারের সাথে যুক্ত হয়ে বেকারত্বের হাত থেকে মুক্ত হক,এটা আমি মনে প্রানে চাই। আমি তাদের পাশে থেকে উৎসাহ যোগাবো।