মাতৃগর্ভে মানুষের আকৃতি লাভের ভূমিকা কার?
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেন। মায়ের গর্ভের সন্তানের আকৃতিও তিনি দান করেন। এ কারণেই পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের আকৃতিতে একেক জনের আকৃতি একেক রকম। এটা মহান আল্লাহর এক বিশেষ নির্দশন।
মানুষের সৃষ্টিতে আল্লাহর ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে এ আয়াতে। এখানে মানুষের আকৃতি দানের বিষয়টি আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত করা হয়েছে।
আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার একত্ববাদের তথা শুধুমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
‘তিনি যেভাবে ইচ্ছা মাতৃগর্ভে তোমাদের (মানুষের) আকৃতি গঠন করেন। তিনি ভিন্ন অন্য কোনো মাবুদ (ইবাদতের উপযুক্ত উপাস্য) নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী, বিজ্ঞানময়।’
আয়াতের পরিচয় ও নাজিলের কারণ
সুরা আল-ইমরানের ৬নং আয়াত এটি। এ আয়াতে মায়ের গর্ভে মানুষের আকার-আকৃতি দানকারী আল্লাহর একত্ববাদের পরিচয় ও ক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।
শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাতেই মাতৃগর্ভে আকৃতি লাভ করে মানুষ। অতঃপর ঘোষণা করা হয়েছে যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো উপাস্য নেই। যিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
আয়াতের ব্যখায় এসেছে-
তিনিই সে মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি তোমাদেরকে যেমন ইচ্ছা মাতৃগর্ভে আকৃতি দান করেন। তোমাদের চেহারার নকশা-নমুনা তাঁরই ইচ্ছা মোতাবেক তৈরি হয়।
মায়ের গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। সুন্দর হবে নাকি কালো হবে। সুস্থ হবে নাকি অসুস্থ হবে। পরিপূর্ণ হবে নাকি বিকলাঙ্গ হবে সবই মায়ের গর্ভে মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন হয়ে থাকে।
তিনিই সেই মহান প্রভু যার একান্ত ইচ্ছায় এক ফোটা অপবিত্র পানি থেকে বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রমের মাধ্যমে মাতৃগর্ভে একটি জীবন্ত মানুষের সৃষ্টি হয়। মানুষের এ গঠন ও আকৃতি লাভে কার ভূমিকা বেশি? এমন প্রশ্নের উত্তর ও ক্ষমতার বর্ণনা এসেছে এ আয়াতে। তিনি বলেন-
‘তিনি যেভাবে ইচ্ছা মাতৃগর্ভে তোমাদের (মানুষের) আকৃতি গঠন করেন।’
তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ। তিনিই বিজ্ঞানময় ক্ষমতার অধিকারী। তার ক্ষমতা ও কুদরত অনন্ত ও অসীম। সুতরাং তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার একচ্ছত্র ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। মানুষের সৃষ্টিতে মহান আল্লাহর কুদরতের শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। শুধু আল্লাহকেই একমাত্র রব হিসেবে স্বীকার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।