মারাত্মক স্ট্রোক রোগ সম্পর্কে জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য
ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক:
বিশ্বের ৮ কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ মাঝবয়সী ও বয়স্ক। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও)-এর এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়াও প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আজ, ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে এই মারাত্মক অসুখটি সম্পর্কে জেনে নিন প্রয়োজনীয় তথ্য।
হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রতি ছয়জন মানুষের এক জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাই স্ট্রোক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে ডব্লিউএসও ২০০৬ সালে ২৯ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বছরের থিম ঠিক করা হয়েছে সাপোর্ট ফর লাইফ আফটার স্ট্রোক। বিশ্বে প্রতি দশটি মৃত্যুর একটি হয় স্ট্রোকের কারণে। তাই একটু সতর্ক হলেই এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।স্ট্রোক কেন হয়? মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।যারা হাঁটাচলা বা কায়িক পরিশ্রম তেমন করেন না তাদের এই রোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে বেশি।
যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাদেরও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি।অতিরিক্ত তেলের খাবার, জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে হঠাৎ স্ট্রোক করার সম্ভাবনা বাড়ে।ভুঁড়ি থাকলে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে। ১৯ শতাংশ স্ট্রোকের রোগীর অতিরিক্ত মেদের সমস্যা আছে।মানসিক চাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রোকের রোগীদের ১৭% মানসিক চাপের শিকার।ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্তি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।হার্টের অসুখ থাকলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।ডায়াবেটিস আছে বা শরীরচর্চা করেন না, তাদেরও স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
নিজে কীভাবে আটকাবেন স্ট্রোক?আপনার বংশে কারো স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে বেশি সাবধান হোন।নিয়মিত প্রেশার, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল-সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে।
ধূমপান ও মদ্যপান করা যাবে না।সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা করে দ্রুত হাঁটুন।
নিয়ম করে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম কম হলে ব্লাড প্রেশার হঠাৎ বেড়ে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
যদি হঠাৎ অল্প সময়ের জন্য ব্ল্যাক আউট হয়, হাত পা বা শরীরের কোনো একদিক হঠাৎ অবশ লাগে, কিংবা চোখে দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধা হয় অথবা ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, কোনো ঝুঁকি না নিয়ে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।