আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখ-
মান্ধাতার আমলের লোহার চিমনী, পুড়ছে কাঠখঁড়ি, পরিবেশ ছাড়পত্র তো অলীক বস্তু। এত কিছুর পরও “এস বি এম” ইট ভাটা মালিক বেলাল হোসেন শুধু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেই নয় বলছেন সব জায়গায় টাকা দিয়ে কিনে রেখেছি!
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রোকনপুরে এভাবেই কোন আইনের তোয়াক্কা না করে চলছে একাধিক ইটের ভাটা। সরেজমীনে”এস বি এম ব্রিকস” ইটের ভাটা পরিদর্শন করে দেখা যায় কয়লা ব্যবহার করার আইন থাকলেও পোঁড়ানো হচ্ছে কাঠ, ইটের তৈরী চিমনীর জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে লোহার তৈরী চিমনী।
এলাকাবাসীরা জানায়, রাস্তার পাশে এই ইট ভাটা যেমন সড়কপথ নষ্ট করছে পাশাপাশি ভাটার কাছাকাছি জনবসতি থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।
ইটের কারখানা মালিক বেলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে এভাবে কোন ইট ভাটা পরিচালনা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি ঝিনাইদহের চোখ’কে বলেন, আমরা ভ্যাট টাক্স দিচ্ছি, ফায়ার সার্ভিস কে দিচ্ছি, কেন করা যাবে না? আপনার ভাটার কোন বৈধতা আছে কি? তবে আপনি কিভাবে ভ্যাট ট্যাক্স দেন? একথায় তিনি আর কোন উত্তর দেননি।
উপ সহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঝিনাইদহ, মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফনে যোগাযোগ করে ইট ভাটা থেকে ভ্যাট টাক্স নিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালীগঞ্জ ফায়ারসার্ভিস কোন টাকা নিয়েছেন কিনা আমি বলতে পারছি না। আমি দু একদিনের মধ্যে খোজখবর নিয়ে দেখব।
এই ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূবর্ণা রানী সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই উপজেলায় ইউএনও হিসেবে নতুন যোগদান করেছি। এই বিষয়টি আমার অজানা ছিল। এসময় তিনি আরও বলেন পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকার পরেও ইট ভাটা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনী। এসময় তিনি আশ্বাস প্রদান করে বলেন অবশ্যই এই ব্যাপারে তার প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।